বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রবাস জীবন

রমজানে মুসল্লিদের খাবারবিলান হাইতির মুসলিমরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

হযরত সালমান ফারসী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, একবার রাসূল (সা.) আমাদের শাবান মাসের শেষ তারিখে ভাষণ দান করলেন এবং বললেন, হে মানবমন্ডলী! তোমাদের প্রতি ছায়া বিস্তার করেছে এক মহান মাস, মোবারক মাস। এটি এমন মাস যাতে একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ তায়ালা এই মাসের রোজাগুলোকে করেছেন (তোমাদের ওপর) ফরজ আর রাতে নামাজ পড়াকে তোমাদের জন্য করেছেন নফল। এই মাসে যে ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশে ১টি নফল আমল করল সে ওই ব্যক্তির সমান হলো, যে অন্য মাসে ১টি ফরজ আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি এই মাসে ১টি ফরজ আদায় করলো সে ওই ব্যক্তির সমান হলো, যে অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায় করলো।
এটা ধৈর্যের মাস। আর ধৈর্যের সওয়াব হলো বেহেশত। এটা সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস। এটা সেই মাস যে মাসে মুমিন বান্দার রিজিক বাড়িয়ে দেয়া হয়। এ মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে তা তার জন্য গুনাহ মাফের এবং দোযখের আগুন থেকে মুক্তির কারণ হবে। এছাড়া তার ছওয়াব হবে রোজাদার ব্যক্তির সমান। অথচ রোজাদার ব্যক্তির সওয়াব কমবে না।
এসব শুনে সাহাবীরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি তো এমন সামর্থ রাখেনা যে রোজাদারকে (তৃপ্তি সহকারে) ইফতার করাবে? রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহ পাক এই ছওয়াব দান করবেন যে রোজাদারকে ইফতার করায় এক চুমুক দুধ দিয়ে, অথবা একটি খেজুর দিয়ে, অথবা এক চুমুক পানি দিয়ে। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তির সঙ্গে খাওয়ায় আল্লাহ তায়ালা তাকে হাউজে কাউছার থেকে পানি পান করাবেন যার পর সে পুনরায় তৃষ্ণার্ত হবে না জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত।
রমাযান ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ও সৌহার্দ্যরে মাস। এতে মানুষ নিজের ইবাদতে গতি আনয়ন করে। দানের হাত সম্প্রসারিত হয়। গরীব-দঃখিতে সাধ্যমতো দান-খয়রাত করেন প্রায় সব মুসলিমই। আর রোজাদারকে সাহরী বা ইফতার দেয়া নিজেদের ঐতিহ্যের অংশ বানিয়ে ফেলেছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সব প্রান্তের মুসলিমরাই অন্যকে খাওয়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। বিতরণ করেন খাবার। যেমন ধরা যাক হাইতির কথা। রাজধানী পোর্ট অ-প্রিন্সের মুসলিমরা চলতি রমজানের শুরুতেই স্থানীয় মসজিদ আত-তাওহীদ চত্বরে সেখানকার রোজাদারদের জন্য খাবার বিতরণ করেন। এসময় এএফপির আলোকচিত্রী ধারণ করেন সেই চিত্র।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
monir ১৯ মে, ২০১৯, ১২:৪৬ পিএম says : 0
আর বাংলাদেশে তো রমজান মাসে ভেজাল খাবার বেশি দামে বিক্রি করে তাদের কি হবে?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন