শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম

রমজানে দুরূদ শরীফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

দুরূদ শরীফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। দ্বীনি কোনো মজলিসে বা হাদীসের তা’লীমে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম আসতে পারে। তখন আমরা অবশ্যই দুরূদ পাঠ করব। গাফলত ও উদাসীনতায় যেন তা ছুটে না যায়। আর দুরূদ শরীফ পড়তে হবে ভক্তি ও শ্রদ্ধাসহকারে শুদ্ধভাবে। তাড়াহুড়ো করে যেন উচ্চারণ না করি। আদব ও মহব্বতের সঙ্গে মুখ ভরে বলতে হবে- সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মনে রাখতে হবে, দুরূদ শরীফ দ্বারা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোনো ফায়দা হয় না। দুরূদের ফায়দা ও উপকারিতা আমাদের নিজেদের। কারণ, আমরা সকলে মিলে আজীবন পড়লেও হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যে মর্যাদা রয়েছে তা একটুও বৃদ্ধি পাবে না। আল্লাহপাকের পরই হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা ও অবস্থান। আমাদের দুরূদের দ্বারা তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে না। তদ্রুপ কেউ যদি দুরূদ না পড়ে, তা হলে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে না বা তাঁর কোনো ক্ষতি হবে না; বরং ক্ষতি হবে আমাদের নিজেদেরই। যেমনটা উল্লিখিত হাদীসে বলা হয়েছে। এ ছাড়া অপর এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রকৃত কৃপণ তো সে যার সামনে আমার নাম আলোচিত হয় অথচ সে আমার প্রতি দুরূদ পাঠ করে না। -শুআবুল ঈমান : ১৫৬৮
এ জন্য আমাদের দুরূদ শরীফ পাঠে গুরুত্ব দেয়া উচিত। দুরূদ পড়ার ফায়দাগুলো জানা থাকলে তা পড়ার প্রতি আমাদের আগ্রহ জাগবে। দুরূদের অনেক ফায়দা রয়েছে।
দুরূদের ফায়দা : হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি এক বার দুরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দশটি রহমত নাযিল করবেন, দশটি গোনাহ মাফ হবে এবং তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। -সুনানে নাসাঈ : ১২৯৭
উল্লিখিত হাদীসে দুরূদ পাঠের তিনটি ফায়দা বর্ণিত হয়েছে,
১. দশটি রহমত নাযিল হবে। ২. দশটি গোনাহ ক্ষমা করা হবে। ৩. দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
মাত্র একবার দুরূদ পাঠ করলেই এ উপকার ও ফায়দা! তা ছাড়া দুরূদের দ্বারা দুশ্চিন্তা দূর হয়। যে ব্যক্তি চায় তার দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী দূর হোক সে যেন বেশি বেশি দুরূদ পাঠ করে। দুরূদের দ্বারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে হৃদয়ের সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়, গভীর ভালোবাসা ও মহব্বত সৃষ্টি হয়। আমরা বেশি বেশি দুরূদ পাঠে সচেষ্ট হই। বিশেষত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম নেয়া হলে অবশ্যই দুরূদ পড়ব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Monir Hasan ১৯ মে, ২০১৯, ৩:৪৮ এএম says : 0
Alhamdulillah, pore onek kisu jante parlam
Total Reply(0)
Kalam ১৯ মে, ২০১৯, ৩:৫৪ এএম says : 0
চলছে পবিত্র রমজান মাস। এই মাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইসলামের নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসংখ্য স্মৃতি। তাঁকে স্মরণ করা, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করা প্রতিটি মুসলমানের ওপর কর্তব্য
Total Reply(0)
মিজান ১৯ মে, ২০১৯, ৩:৫৬ এএম says : 0
রাসুলুল্লাহর (সা.) ওপর দরুদ পাঠ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এর দ্বারা আল্লাহ ও রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।
Total Reply(0)
জমির উদ্দিন ১৯ মে, ২০১৯, ৩:৫৭ এএম says : 0
এটা আমাদের প্রিয়নবীর (সা.) একমাত্র বৈশিষ্ট্য যে, তাঁর ওপর আল্লাহ ও ফেরেশতারা দরুদ পাঠান। তাঁর কল্যাণের জন্য দোয়া করেন। আল্লাহর পরেই মানবজাতির ওপর সবচেয়ে অনুগ্রহশীল হলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)।
Total Reply(0)
Ujjol ১৯ মে, ২০১৯, ৩:৫৯ এএম says : 0
দরুদ শরিফ স্বতন্ত্র একটি ইবাদত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ দরুদ শরিফ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। এর কারণে আল্লাহ তায়ালাও বান্দার প্রতি রহমতের দৃষ্টিপাত করেন।
Total Reply(0)
মনিরুল ইসলাম ১৯ মে, ২০১৯, ১০:৪৮ এএম says : 0
আমাদের দুরূদ শরীফ পাঠে গুরুত্ব দেয়া উচিত।
Total Reply(0)
সোয়েব আহমেদ ১৯ মে, ২০১৯, ১০:৪৮ এএম says : 0
দুরূদের অনেক ফায়দা রয়েছে। দুরূদ পড়ার ফায়দাগুলো জানা থাকলে তা পড়ার প্রতি আমাদের আগ্রহ জাগবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন