শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা আজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

গত রোববার ষষ্ঠদফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভারতের লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৪৮৩টি আসনের ভোটাররা ভোট দেয়া শেষ করেছেন। আজ শেষ দফায় বাকি ৫৯টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে আছে বিহারের ৪০ টি আসনের মধ্যে বাকি ৮টি, চন্ডীগড়ের ১টি, হিমাচল প্রদেশের ৪টির সবকটি, ঝাড়খন্ডের ১৪টির মধ্যে বাকি ৩টি, মধ্যপ্রদেশের ২৯টির মধ্যে ৮টি, পাঞ্জাবের ১৩টির সবকটিতে, উত্তরপ্রদেশের ৮০টির মধ্যে ১৩টি ও পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে বাকি ৯টি আসন। তবে ব্যাপক টাকা ছড়ানোর অভিযোগে বাতিল হওয়া ভেলোরের নির্বাচন কখন হবে ইসি তা জানায়নি।
এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া একই সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র হিসেবে ভারতের ব্যর্থতা ও অঙ্গীকারের প্রতিফলন। ভোটারদের ভালো উপস্থিতি বেশিরভাগ দল, বিশেষ করে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতাদের কদর্য প্রচারণার প্রভাব হ্রাসে কিছু করতে পারেনি। দিল্লি ও হারিয়ানার সবগুলো আসন এবং উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ডের কিছু কিছু আসনে এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জায়গায় জায়গায় ভোটারদের উপস্থিতির মধ্যে ভিন্নতা থাকলেও দিল্লিতে তা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। ২০১৪ সালে যেখানে ছিলো ৬৫.০৭%, সেখানে এবার ভোট পড়েছে ৬০.৫০%।
একজন বিজেপি কর্মী নিহত হওয়াসহ ব্যাপক সহিংসতা এবং সামাজিক গণমাধ্যমে বিরূপ পোস্ট দেয়ার জন্য এক বিজেপি এক্টিভিস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে রাজ্য সরকারের দোটানা মনোভাব নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশ বিষিয়ে তোলে। ঘাটাল নির্বাচনী এলাকার বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলা দু:খজনক ও নিন্দার যোগ্য। অন্যদিকে প্রথম ছয় দফাতেই ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা ও দ্রুততার মাপকাঠিতে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
১৭তম সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগুলোর মধ্যে যে অস্বাভাবিক হিংস্রতা দেখা গেছে তা না কমলেও রাজনৈতিক নেতারা এরই মধ্যে নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী, যার তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি নির্বাচনে ভালো করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অন্য রাজ্যের নেতাদের কাছে ছুটছেন। সোমবার তিনি চেন্নাইয়ে ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রতি অসন্তুষ্ট দলগুলোকে নিয়ে একটি ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে আঞ্চলিক দল ও কংগ্রেসকে নিয়ে একটি বিজেপি-বিরোধী ফ্রন্ট গঠনে আগ্রহী অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। এসব উদ্যোগ স্পষ্টতই অপরিপক্ষ। পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন যে চ‚ড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। রাজেস্তানে কংগ্রেস সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করায় সেখানে বহুজন সমাজ পার্টি কেমন ফলাফল করতে পারে তার স্পষ্ট ইংগিত পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র জবাব দিয়েছেন মায়াবতী।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রকাশ্যে মায়াবতীর প্রতি তার অনুরাগের কথা প্রকাশ করে যাচ্ছেন। ফলে তাদের মধ্যে সমঝোতার পথটি খোলা রয়ে গেছে। বিএসপি’র সঙ্গে নির্বাচনী জোট গড়তে চেয়েছিলেন রাহুল, কিন্তু তা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এ ধরনের জোটের বিরুদ্ধে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন এবং বলছেন যে তা টেকসই হবে না। গত সপ্তাহান্তে তিনি দাবি করেন যে জোট কিভাবে চালাতে হয় সেই কৌশল তার জানা আছে। গণনাকারীরা নিষ্ক্রান্ত হয়েছেন, এখন গণনার জন্য অপেক্ষার পালা। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Md Biplab Nur ১৯ মে, ২০১৯, ১:৫৮ এএম says : 0
ভাই কংঘেস রাহুলকে ভোট দিবেন ভারত বাসীকে অাহবান
Total Reply(0)
Zafarul Haque ১৯ মে, ২০১৯, ১:৫৯ এএম says : 0
শুনলাম ভরাডুবির হার হবে জেনেই মোদি ভাব দরছে
Total Reply(0)
Md Rasel Hasan ১৯ মে, ২০১৯, ২:০০ এএম says : 0
ঐ দেশে কি হচ্ছে না হচ্ছে তা আমরা জানি না কিন্তু । আঃলীগ সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার ।
Total Reply(0)
Lingkon Adip ১৯ মে, ২০১৯, ২:০১ এএম says : 0
ভারতে ইভিএম মানে ( evrry vote for modi)
Total Reply(0)
সীমান্ত ঈগল ১৯ মে, ২০১৯, ২:০১ এএম says : 0
মোদি হটাও মুসলিম বাঁচাও.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন