শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ঝাড়খন্ডের রাজমহলে প্রভাব পড়ছে এনআরসির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আসাম ও পশ্চিম বঙ্গের মতো ঝাড়খান্ডের কোন সীমান্ত নেই বাংলাদেশের সাথে। কিন্তু রাজ্যের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় পাকুর ও সাহিবগঞ্জ জেলায় বিজেপি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে সারা দেশে এনআরসির মতো নাগরিকদের তালিকা তৈরি করা হবে এবং এর মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানো হবে। তাদের এ ঘোষণায় এই জেলাগুলোতে বিভাজন তৈরি হয়েছে।
ঝাড়খান্ডের রাজমহল এলাকার অধীনে উপজাতীয় প্রধান সানথাল পরগনা, পাকুর আর সাহিবগঞ্জে ভোট হবে ১৯ মে। এই জেলাগুলোর পূর্বদিকের বসতিগুলোর অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ আর মালদা জেলার পাশেই। সাহিবগঞ্জের একটি এলাকা গুমানি – যেটা ফারাক্কা থেকে ২০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানকার ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ মুসলিম, যাদের আদি বসতি হলো বাংলাদেশ আর পশ্চিম বঙ্গ। গুমানির মূল বাজারের ৪০ বছর বয়সী চা বিক্রেতা এনামুল হক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, “১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় আমাদের অনেকে ভারত চলে আসে। তখন থেকেই এখানে বাস করে আসছি আমরা। আমরা ভারতের নাগরিক এবং অন্যান্যদের মতোই গর্বিত ভারতীয়”। গুমানিদের জনসংখ্যা গত ১৫ বছরে অনেক বেড়েছে। এখানকার অধিকাংশ মানুষই অভিবাসী শ্রমিক এবং তাদের ছোটখাটো ব্যবসা রয়েছে এখানে।
পাকুর জেলার তিন পাহাড় এলাকায় উষ্ণ বিকেলে তিন পাহাড় রেলওয়ে স্টেশানের পাশে নিজের পানের দোকানে বসে হিন্দি দৈনিকে রাজনৈতিক লেখা পড়ছিলেন করিম শেখ। প্রশ্নের জবাবে সতর্কভাবে জানালেন তিনি, “এখানে কোন অবৈধ অভিবাসী নেই। আমরা সবাই ভারতের নাগরিক এবং বৈধ ভোটার”। তিন পাহাড়ে মুসলিম ও হিন্দু উভয়ই রয়েছে এবং তাদের জবাব এক রকম নয়।
বিশোর্ধ সুভাস সিং একজন স্থানীয় নাগরিক। সে একটা অবাক করা দাবি করলো। সিং বললেন, “বর্ধন বিস্ফোরণের (২০১৪ সালের) সন্দেহভাজনদের একজন এসেছিল বাংলাদেশ থেকে। সে তিন পাহাড়ে একজন মজুর হিসেবে কাজ করতো। তাদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কোথা থেকে এসেছে, জিজ্ঞাসা করলে তারা বিভ্রান্তিকর জবাব দেবে”।
রাজমহলে বিজেপির লড়াইটা ঝাড়খান্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) বিরুদ্ধে। কংগ্রেস এবার জেএমএমের মিত্র। কংগ্রেস নেতা আলমগীর আলম বর্তমান পাকুরের এমএলএ। বিজেপির বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ আনলেন তিনি। আলম বললেন, “স্বাধীনতার সময় থেকে মানুষ এখানে বাস করছে এবং তাদের কিছু আত্মীয় এখনও বাংলাদেশে রয়েছে। কিন্তু, তার মানে তারা অভিবাসী নয়। বিজেপির এই ধরনের দাবি হাস্যকর এবং ভোটের সময় ঘৃণা ছড়ানোর জন্যই এটা করা হচ্ছে”। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন