বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পাঁচ লাখ মানুষের সেবায় ৩ ডাক্তার

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

তিনজন ডাক্তার দিয়ে চলছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগিদের সেবা দান। ৫ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সই একমাত্র ভরসা। এছাড়া অবস্থাগত কারণে পাশবর্তী জেলার সালথা, মহম্মদপুর ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার একটি অংশের রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। চিকিৎসক জনবল ও প্রয়োজনীয়ও উপকরণসহ নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে এ উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিদিন এখানে প্রায় তিন শতাধিক রোগীরা বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। ৫০ বেডের হাসপাতাল হলেও প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০জন রোগী ভর্তি থাকে এ হাসপাতালে। এতে প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রোগীদের নানা দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। সেখানে ডা. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ কর্মরত আছেন শিশু কনসালটেন্ট হিসেবে, মেডিকেল অফিসার হিসেবে আছেন ডাক্তার সৌমিত্র সরকার ও ডাক্তার শান্তনু ভট্ট্যাচার্য। এর মধ্যে ডাক্তার শান্তনু কর্মস্থল খামার পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে। ডাক্তার সংকটের কারণে মেডিকেল অফিসারের পাশাপাশি জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. নুরজাহান বেগম ও ডা. নুরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. তাপস বিশ্বাস প্রশাসনিক দায়িত্বের পাশাপাশি অধিকাংশ সময় রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যান্য জনবলের মধ্যে সুইপার পোস্ট ৫ জন থাকলেও আছে ১ জন, ওয়ার্ডবয় গত এক বছর ধরে শূন্য রয়েছে। অন্যান্য পদের মধ্যে অফিস সহকারী একজন ও এমএলএসএস একজন ছাড়া বাকি পদগুলো শুণ্য রয়েছে। এ কারণে হাসপাতাল পরিস্কার-পরিছন্নতা রাখতে হাসপাতাল কতৃপক্ষ নিজেদের অর্থ দিয়ে এসব কাজ করেন। এক্সেরে মেশিনের নির্দিষ্ট কোন কক্ষ না থাকায় পুরাতন পরিত্যাক্ত ভবনের একটি কক্ষে গত ১০-১২ বছর ধরে পড়ে থাকায় সেটিও অচল হয়ে গেছে। আলট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি মেশিন লোকবলের অভাবে গত ২-৩ বছর অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে। সেটাও মরিচা পড়ে নষ্ট হওয়ার পথে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. তাপস বিশ্বাস বলেন, ডাক্তার সংকটের কারণে বর্তমানে যারা আছেন তাদের ওপর প্রচন্ড চাপ পড়ছে। এখানে জুনিয়র কার্ডিওলজিস্ট হিসেবে ডাক্তার রকিবুল কবিরের পোস্টিং থাকলেও গত দেড় বছর ধরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ডেপুটেশনে আছেন। ডাক্তার মনোয়ারা শারমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেড় বছর ধরে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে নিয়মিতিভাবে চিঠি দিয়েও লোকবলের সংকটের কথা জানিয়ে যাচ্ছি। কখনও কোন ডাক্তারের এখানে পোস্টিং হলেও অল্প কিছু দিনের মধ্যে বিভিন্ন কোর্স, ডেপুটেশন ও প্রশিক্ষণের জন্য চলে যান। এছাড়া এখানে ক্যাশিয়ার, হিসাব রক্ষক ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পদ দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। এক্সে-রে, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন ও অপারেশন থিয়েটার লোকবলের অভাবে অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে বলে তিনি আরো জানান। সম্প্রতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে চিকিৎসা সংকট কাটতে পারে বলে তিনি আশা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন