চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকরা ধানের ফলনে সন্তুষ্ট হলে ও বাজার দরে প্রচন্ড হতাশ বিষয়ে কৃষি ও কৃষকদের সার্বিক উন্নয়নে স্থানীয় কৃষক ও সাংবাদিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সমাজ ও জাতি গঠন (সজাগ) নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে কালামপুর সজাগ সেন্টারে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ মতবিনিময় সভায় কৃষকরা বলেন, এ বছর বোরো ধান উৎপাদনে জমি তৈরি থেকে শুরু করে সার, বীজ, কিটনাশক, পানি, পরিচর্ষা ও ধানকাটা পর্যন্ত প্রতি বিঘায় যে পরিমান টাকা খরচ হয়েছে তাতে ধান বিক্রি করতে গেলে প্রতি বিঘায় লোকসান হচ্ছে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা। বর্তমান ধানের বাজার দর প্রতি মন ৬শ’ থেকে ৭শত টাকা। এখানে প্রতি শ্রমিকের প্রতিদিনের মজুরি ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা।
বিশেষ করে সারা বছর কৃষি শ্রমিকদের মজুরি সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও শুধু মাত্র বোরো ধান কাটার মৌসুমেই শ্রমিকদের মজুরি অসহনীয় মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। কৃষকদের মাঠের ধান ঘরে তুলার জন্য বেশি মজুরি দিয়েই শ্রমিক নিতে হচ্ছে। এসব শ্রমিকদের মজুরি নগদ টাকা প্রদান করতে হয়। শ্রমিদের মজুরি পরিশোধ করতে কৃষক তার ধান মজুত না করে বাধ্য হয়েই কম দরে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে।
এক্ষেত্রে সরকার ধান ক্রয়ের যে মূল্য নির্ধারণ করেছেন তাতে অনেক কৃষক তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু মাত্র শ্রমিক মূল্য পরিশোধের কারনে।
এ সময় বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র ধান কাটার সময়েই যদি কৃষকদের একটু আর্থিক সহযোগীতা দেয়া হতো তা হলে সরকারি নির্ধারিত মূল্য হতে বঞ্চিত হতো না। এসময় কৃষকরা এ বোরো ধানের জন্য শষ্য বীমা চালু করার ও দাবি জানান।
এ মতবিনিময় সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন সজাগের পরিচালক আব্দুল মতিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সমন্নয়কারী মর্তুজ আলী, কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় কৃষক ও সাংবাদিকবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন