নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ৩০ মে নির্ধারণ করেছেন আদালত। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে একটি ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা যায়নি বলে জানান দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল। আদালতে শুনানির সময় পলাতক তিন আসামি ছাড়া বাকি সবাই উপস্থিত ছিলেন। এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ তালুকদার। তিনি বারবার মহামান্য আদালতের কাছে আপত্তি জানানোর পরেও বিজ্ঞ আদালত ৩০ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
দুদকের সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। পরের বছর এই ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন, তৎকালিন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারি সচিব সিএম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এ মামলার ১১ আসামির মধ্যে বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, তৎকালিন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ পলাতক রয়েছেন। বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মৃত্যুবরণ করেছেন। খালেদা জিয়ার আইজীবী মাসুদ তালুকদার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ৩০ মের পরে এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করার জন্য মহামান্য আদালতকে আমরা বারবার আপত্তি জানানোর পরেও তিনি ৩০ সেই শুনানির দিন ধার্য করেন। সবাই জানে এবং বিজ্ঞ আদালতও জানে, ৩০ মে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী। আমার মনে হচ্ছে এটা মহামান্য আদালতের একটি নির্ধারিত আদেশ।
সরকারের পক্ষের দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ মামলায় শুধু খালেদা জিয়া ছাড়া সবার চার্জ শুনানি হয়েছে। অসুস্থতার কারনে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। ৩০ মে চার্জ শুনানির দিন ধার্য করার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য করা মহামান্য আদালতের বিষয়। এ ব্যাপারে আমার কোন মন্তব্য নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন