পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং দাপটের মাঝে বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সেরে রাখলেন ক্রিস ওকস। চতুর্থ ওয়ানডেতে ৪ উইকেট নেওয়া এই ইংলিশ পেসার রোববার শেষ ম্যাচে নিলেন ৫ উইকেট। তাতে ৫৪ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তানে ৪-০ তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করলো ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যাক্ত হয়েছিল।
হেডিংলিতে জো রুট ও এউইন মরগানের হাফসেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩৫১ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে বাবর আজম ও সরফরাজ আহমেদ প্রতিরোধ গড়লেও সেটা ভেঙে দেন ওকস। ৪৬.৫ ওভারে ২৯৭ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ওয়ানডেতে তৃতীয়বার এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ডানহাতি ইংলিশ পেসার।
মরগান-রুটের একশ ছাড়ানো জুটিতে বিশাল স্কোরের আভাস দিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু শাহীন শাহ আফ্রিদি ও ইমাদ ওয়াসিমের বোলিংয়ে ছন্দপতন ঘটে তাদের ব্যাটিংয়ে। মরগানকে ৭৬ রানে ফিরিয়ে ১১৭ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন শাহীন। অধিনায়কের ৬৪ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৫টি ছয়।
কিছুক্ষণ পর সেঞ্চুরি না করে ফিরে যান রুটও। তাকে ৮৪ রানে মাঠছাড়া করেন মোহাম্মদ হাসনাইন। শেষ দিকে জস বাটলারের ৩৪ রান এবং টম কারানের ১৫ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে সাড়ে তিনশর ঘরে স্কোর করে ইংল্যান্ড।
৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে সেরা বোলার শাহীন। তিনটি শিকার পান ইমাদের।
৩৫২ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ওকস তার প্রথম দুই ওভারেই পাকিস্তানের তিন ব্যাটসম্যানকে শিকার করেন। এরপর বাবর ও সরফরাজের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু বাবরকে ফিরিয়ে দুর্দান্ত ব্রেকথ্রু করে ইংল্যান্ড। ১৪৬ রানের জুটি গড়ে রান আউট হন তিনে নামা এই ব্যাটসম্যান। ৮৩ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৮০ রান করেন বাবর।
সরফরাজ মাত্র ৩ রান করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তাকে ৯৭ রানে রান আউট করেন বাটলার। ৮০ বলের ইনিংসে ৭ চার ও ২ ছয় মারেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। তার বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। ওকসের গতির সঙ্গে আদিল রশিদের স্পিনে পেরে ওঠেনি তারা। হাসনাইন ও শাহীনের ৪৭ রানের জুটি ভেঙে জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। ১৭ বলে ২৮ রান করেন হাসনাইন।
ওকস ১০ ওভারে দুটি মেডেন সহ ৫৪ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। দুটি পেয়েছেন আদিল রশিদ। চার ম্যাচে দুটি হাফসেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরি মেরে সিরিজের সেরা হয়েছেন জেসন রয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন