পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিনসিটি আবাসন পল্লীর বিছানা, বালিশ, আসবাবপত্র অস্বাভাবিক মূল্যে কেনা ও তা ভবনে তোলার ঘটনায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেখতে চান হাইকোর্ট। এ জন্য ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। অবকাশকালীন ছুটির পর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কোর্টে দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে। গতকাল সোমাবার রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়্যেদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্তের জন্য ইতোমধ্যেই দুটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। তাই এ মুহূর্তে আদালতের হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না। তারা কি প্রতিবেদন দেন দেখা হোক।
পরে রিটকারী আইনজীবী সায়্যেদুল হক সুমন বলেন, রূপপুরের আবাসন পল্লীর জন্য বালিশ, রিটে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়েছি। এখানে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিষয় রয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স রয়েছেন। আদালত আমাদের বক্তব্য শোনার পর অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শুনেছেন। সেখানে তিনি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দু’টি তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি জানিয়েছেন। আদালত তখন বলেছেন, এ তদন্ত প্রতিবেদন আসুক, আমরা দেখি। সে পর্যন্ত মামলাটি মুলতবি থাকুক। এর আগে ওই গ্রিনসিটি আবাসন পল্লীর বিছানা, বালিশ, আসবারপত্র অস্বাভাবিক মূল্যে কেনা ও তা ভবনে তোলার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে গত রোববার হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে এই রিট আবেদনটি করেন। রিটে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, পাবনার গণপূর্ত অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। গ্রিনসিটিতে আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে লাগামছাড়া দুর্নীতির তথ্য সম্প্রতি ফাঁস হয়। #
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন