আমে কেমিক্যাল ব্যবহার রোধে ঢাকাসহ সারা দেশের ফলের বাজার ও গুদামগুলোতে তদারকির জন্য সাত দিনের মধ্যে মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের চেয়ারম্যান ও বিএসটিআইয়ের পরিচালককে এই মনিটরিং টিম গঠন করে ১৮ জুন এই বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিএসটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের ক্যামিকেল টেস্টিং উইংয়ের পরিচালককে এ নির্দেশ দিয়ে আগামী ১৮ জুন বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আদালতে শুনানি করেন রিটকারী পক্ষের হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল বাশার। পরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, এবিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়ে মামলাটির তারিখ রেখেছিল আদালত। কিন্তু তারা কোনো প্রতিবেদন না দেয়ায় বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে এনে বলেছি, এটি যদি না করা হয় তাহলে দেখা যাবে, রাজশাহীর আমবাগানে রাসায়নিক ব্যবহার করল না। কিন্তু ঢাকাসহ সারাদেশে ফলের বাজার-আড়তে এনে যদি রাসায়নিক ব্যবহার করে তাহলে তো এর সুফল পাওয়া যাবে না। সে প্রেক্ষিতে আদালতের কাছে অবেদন জানালাম আদেশটা যেন কার্যকর করা হয়। তিনি আরো বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে ফলের বাজার ও ফলের আড়ত নজরদারিতে সাত দিনের মধ্যে কমিটি গঠন করে পর্যবেক্ষণ করতে বলে আদালত সংশ্লিষ্টদের আগামী ১৮ জুন আদেশটির বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
আমের মৌসুম সামনে রেখে গত ৯ এপ্রিল মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির আবেদনের রাজশাহীসহ দেশের বড় আম বাগানগুলোতে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি ফলে রাসায়নিকের প্রয়োগ ঠেকাতে বাজার ও আড়তগুলো নজরদারি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এর আগে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ রোধে এইচআরপিবির একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিল। ওই মামলাটিই চলমান রেখেছে আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন