বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঢাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা কর্মীদের মারধরের ঘটনায় উল্টো পদবঞ্চিত এক নেত্রীকে বহিষ্কার করায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ওই ছাত্রলীগ নেত্রী। একই ঘটনায় সংগঠনটি থেকে একজনকে স্থায়ী ও চার জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এর বাইরে দুই জনকে দেয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর নোটিশ।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য জারিন দিয়া। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তবে এখন তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়ে ঢামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, ঢাবি থেকে জারিন দিয়া নামের এক ছাত্রীকে হাসপাতালে আনা হয়। সে ঘুমের ওষুধ খান। পরে তাকে স্টমাক ওয়াস করে ৫০২ নাম্বার ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
এরআগে সোমবার ছাত্রলীগের এক জরুরী বৈঠক গত সপ্তাহের সোমবার ইফতারের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের ঘটনার তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ৫জনকে বহিষ্কার করা হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জিয়া হলের ছাত্রলীগ কর্মী সালমান সাদিককে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। বিজ্ঞান অনুষদের সাধারণ সম্পাদক গাজী মুরসালিন অনু, জিয়া হলের ছাত্রলীগ কর্মী সাজ্জাদুল কবির ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য জারিন দিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার এবং জিয়া হল ছাত্রলীগের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুর রহমান শান্তকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
সংগঠনে পদ না পেয়ে অন্যান্য পদবঞ্চিতদের সাথে আন্দোলনে যোগ দেন জারিন দিয়া। আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে পোস্ট দেন। এরপর কয়েতকবার তাকে হুমকি দেয়া হয় বলে জানান তিনি। সোমবার রাতে আত্মহত্যা চেষ্টার আগে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেন। এতে তিনি পদ না পাওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এবং হামলায় কোমর ভেঙ্গে গেলেও কোন প্রকার খোঁজ না নিয়ে সংগঠন থেকে উল্টো বহিষ্কার করায় তাকে অসম্মান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
গত ১৩ই মে ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই পদবঞ্চিত এবং কাক্সিক্ষত পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে পদপ্রাপ্তরা বাধা দেয়। সংবাদ সম্মেলন শুরুর পরপরই হামলা চালিয়ে পন্ড করে দেন শোভন রাব্বানীর অনুসারি পদপ্রাপ্ত নেতারা। গত শনিবার গভীর রাতে, ঢাবির টিএসসিতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার সময় আবারও হামলা ও মারধরের শিকার হন বিক্ষুব্ধ অংশের নেতাকর্মীরা। তারপর থেকেই ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন