বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মোবাইল প্যাকেটের সূত্র ধরে খুনি গ্রেফতার

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৯, ১২:০২ এএম

নগরীর আমীন জুট মিলের উত্তর গেইট লাগোয়া মৃধাপাড়া থেকে অর্ধ-গলিত এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের সুরতহাল রির্পোটে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে হতাকাÐের রহস্য উদঘাটন ও খুনিদের শনাক্ত করার মতো কোন আলামত ও ক্লু ছিলো না পুলিশের হাতে। লাশটি যেখানে পড়েছিলো তার পাশেই একটি মোবাইলের প্যাকেট খুঁজে পান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) বায়েজিদ বোস্তামি থানার এসআই মোহাম্মদ হোসাইন। জানুয়ারি মাসে বহদ্দারহাটের একটি দোকান থেকে ওই মোবাইল কেনা হয়। প্যাকেটে এ সংক্রান্ত একটি রশিদ পাওয়া যায়।
এই সূত্র ধরে পুলিশ খুনি হালিম ও তার সহযোগী মো. নেজাম উদ্দিনকে শনাক্ত করা হয়। নেজাম উদ্দিনকে গ্রেফতারের পর সে খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। গত ১৩ মে উদ্ধার ওই লাশটির রেবেকা সোলতানা মনির (২৫)্। সে কক্সবাজার জেলা চকরিয়া উপজেলার মাইজ কাকারা গ্রামের বদরুদ্দোজার কন্যা। গ্রেফতার মো. নেজাম উদ্দিনের (২৯) গ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগরের বাইশ্যার বাপের বাড়ী। তার বাসা নগরীর আগ্রাবাদ উত্তর মহুরী পাড়ায়।
আইও মোহাম্মদ হোসাইন জানান, রোববার রাতে নগরীর মুহুরি পাড়া থেকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে নেজাম উদ্দিন মনি হত্যাকাÐে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে মনির ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও জামা-কাপড় তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। নেজাম উদ্দিনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে আইও জানান, নেজাম একজন পেশাদার খদ্দের। এ ঘটনার মূলহোতা দালাল হালিম মনিসহ আরও তিন যুবতীকে একটি বাসায় রেখে নারী ব্যবসা করতো। ব্যবসার টাকা নিয়ে মনির সাথে হালিম ও নেজামের বিরোধের জেরে মনিকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। পরে লাশ আমিন জুট মিল এলাকায় ফেলে যায় তারা। দালাল হালিমকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান আইও।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন