বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গোপালগঞ্জে ছাত্রীর শরীরে ভুল ইনজেকশন পুশ জীবন সঙ্কটাপন্ন

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৯, ১২:০২ এএম


ভুল ইনজেকশন পুশ করায় মরিয়ম নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর জীবন সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে সঙ্কটজনক অবস্থায় খুলনা শহিদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপতালে পাঠানো হয়েছে। মরিয়মের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এ ঘটনা তদন্তে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী এবং গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মো. মোশারফ হোসেনর মেয়ে মরিয়ম সুলতানা মুন্নির পিত্ত থলিতে পাথর ধরা পড়ে। এ নিয়ে তিনি সোমবার গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালে ভর্তি হন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শরীরে অস্ত্রপচারের জন্য ওই ছাত্রীকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। সেখানে কর্মরত নার্স শাহানাজ পারভীন ওই ছাত্রীর শরীরে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশনের পরিবর্তে ভুল করে অজ্ঞান করা ইনজেকশন পুশ করেন। তারপর ওই ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ক্রমান্বয়ে ওই ছাত্রীর অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। হাসপতালের চিকিৎসকরা জরুরী ভিত্তিতে বোর্ড বসিয়ে ওই ছাত্রীকে খুলনা শহিদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। পরে স্বজনরা তাকে সেখানে নিয়ে ভর্তি করেন।
শিক্ষার্থী মরিয়মের পিতা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, মরিয়মকে ভুল ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে চিকিৎসকরা তার শ্বাস নালিতে পাইপ দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করে তাকে বাচিয়ে রাখে। এতে তার ব্রেনের মারাতœক ক্ষতি হয়েছে এবং তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় এখন আমরা দিশেহারা। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি অনাকাক্সিক্ষত। আশা করি মেয়েটি দ্রæত সুস্থ হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তদন্তে ওই নার্স দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন