রাজমিস্ত্রির ছদ্মবেশ ধারণ করে রাজধানীর কদমতলী থেকে স্ত্রী হত্যা মামলার আসামী মাসুদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার কদমতলী থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. লালবুর রহমান কাঁধে বেলচা, পরনে লুঙ্গি আর পায়ে ছেঁড়া স্যান্ডেল পরে ছদ্মাবেশ ধারণ করে মাসুদকে গ্রেফতার করেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৪ মার্চ কদমতলী থানাধীন ধনিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী শারমিন আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী মাসুদ হাওলাদার। ঘটনার পরদিন শারমিনের ভাই বাদী হয়ে কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শারমিনকে হত্যার পর মাসুদ হাওলাদার পালিয়ে যায়। প্রযুক্তির সাহায্যে মোবাইল ট্রাক করেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে মাসুদের আত্মীয়-স্বজনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে নিকটাত্মীয়ের মোবাইলের তথ্য বিশ্লেষণ করে মাসুদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মাসুদ পুরাতন প্যান্ট-শার্টের ব্যবসা করতেন। এ জন্য শনির আখড়ায় একটি দোকানের পজিশনও নিয়েছিলেন। তবে ব্যবসা শুরুর আগেই স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে দোকানের পজিশনের টাকা ফেরত নিতে মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে মাসুদ। পুলিশও মালিক পক্ষকে হত্যার বিষয়টি জানিয়ে সহযোগিতা চাওয়া হলে তারা আশ্বাস দেয়।
তিনি আরো বলেন, গত সোমবার দুপুর ২টার দিকে মাসুদ অগ্রিম টাকা নিতে মিন্টু চত্বর এলাকায় আসলে আমি (এসআই লালবুর রহমান) রাজমিস্ত্রি সেজে ও এএসআই মো. জসিম ঘটনাস্থল উপস্থিত থাকি। মাসুদ আসার সাথে সাথেই তাকে ঝাপটে ধরি। একইদিন তাকে আদালতে হাজির করলে সে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
তিনি বলেন, মাসুদ অনেক চতুর। তিনি আশপাশে ভালো পোশাক ও চালচলনের কাউকে দেখলে দ্রুত সটকে পড়ে। সেজন্য ছদ্মবেশ ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া চেহারায় শ্রমিকের ছাপ আনতে দীর্ঘদিন রোদে পুড়ে ও দাড়ি গোঁফ বড় করে রাজমিস্ত্রির ছাপ দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন