বগুড়া জেলা বিএনপি কার্যালয়ের দখল, পাল্টা দখল, নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে মিছিল , সমাবেশ, বহিষ্কার এবং একই সাথে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারকে ঘিরে দলের অভ্যন্তরে চলছে তীব্র অসন্তোষ ও অস্থিরতা ।
বুধবার দুপুরে সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির বিরোধি অংশের নেতারা দলীয় কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করলে আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্যদের টনক নড়ে। আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্যদের মধ্যে ফজলুল বারী তালুুকদার বেলাল ও আলী আজগর তালুকদার হেণার নেতৃত্বে একদল নেতা কর্মি দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দলের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রন নেওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে আগে থেকেই অবস্থানকারি বিরোধি পক্ষের নেতাদের মধ্যে শাহ মেহেদী হাসান হিমু, পরিমল চন্দ্রদাস ও দেলোওয়ার হোসেন পশারী ও মাসুদ রানা মাসুদের নেতৃত্বাধীন নেতা কর্মিরা তাদের প্রতিহত করে। বিষয়টি হট্টগোলে রুপ নেওয়ার আগেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই গ্রুপের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় ।
কিছুক্ষণ পর নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেণ দেলওয়ার হোসেন পশারী হিরু। লিখিত বক্তব্যে তিনি তাদের পক্ষের নেতা কর্মিদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও দলের প্রকৃত ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা কর্মিদের নিয়ে নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি পুনর্গঠনের দাবি করেণ।
এদিকে বিগত উপজেলা নির্বাচনের সময় দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত ৩০ জন নেতার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪ জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরা হল বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম, বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল, গাবতলী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম হেলাল ও মহিলাদল নেত্রী নাজমা আকতার। এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে নেতা কর্মিদের মধ্যে ।
অনেকে খোলামেলা ভাবেই বলছেন বিগত উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৩০ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হল তাহলে কেন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার সময় এক যোগে তা’ করা হচ্ছেনা ? এখানেও কি তাহলে চলছে ভানু মতির খেল ?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন