শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

তাপপ্রবাহের পরে দক্ষিণাঞ্চলে স্বস্তির বৃষ্টি, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে নতুন সংকট

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০১৯, ১২:০৩ পিএম

নজিরবিহীন লাগাতার তাপপ্রবাহের মধ্যে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার পরে প্রায় ৪৮কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া আর বজ্রপাতের মধ্যে মাঝারী বর্ষনে বরিশালের জনজীবন কিছুটা শিক্ত হলেও রাতভর বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চরম দূর্ভোগ নেমে আসে। ঝড়ের কবলে পরে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রজধানীর নৌ যোগাযোগ রক্ষাকারী শতাধীক নৌযানের হাজার হাজার যাত্রী। প্রায় পনের দিন অন্তর বরিশালে এ বৃষ্টি বহু কাঙ্খিত হলেও রতভর বিদ্যুৎ না থাকায় দূর্ভোগের কোন শেষ ছিলনা। এমনকি রাত ১২টার পরে এক পর্যায়ে বরিশাল গ্রীড সাব-স্টেশনে ইনকামিং লাইন ট্রিপ করে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলেই বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে যায়। 

প্রায় ২৫মিনিট স্থায়ী ঘূর্ণি বাতাসে ধুলায় দিগন্ত ঢেকে গিয়ে সড়ক মহাড়কগুলোতে যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হয়। ঐ ধুলি ঝড়ের পরে মেঘের গর্জনের সাথে হালকা থেকে মাঝারী বর্ষনে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি নেমে এলেও ঘুটঘুটে অন্ধকারে নতুন অস্বস্তি দেখা দেয়। বর্ষন প্রায় ঘন্টাখানেক স্থায়ী হলেও মেঘের গর্জন ছিল রাতভরই। তবে বৃহস্পতিবার শেষ রাতের কয়েক দফার বর্ষনের সাথে বিকট গর্জনের বজ্রপাতে জন জীবনে আতংকও ছড়ায়। আবহাওয়া বিভাগ থেকে দক্ষিণাঞ্চল সহ সারা দেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবনতা অব্যাহত থাকার কথা বলা হয়েছে।
রাতে নগরীর কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা পূণর্বহাল হলেও হাতেম আলী কলেজ ফিডার ও কালিজিরা ফিডারের কয়েক লাখ মানুষকে অন্ধকারেই সেহেরী গ্রহন সহ ফজরের নামাজ আদায় করতে হয়েছে। এমনকি হাতেম আলী কলেজ ফিডারের সাথে সংযূক্ত সিটি করপোরেশনের ৩টি পানির পাম্পে রাতভরই বিদ্যুৎ না থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি সরবারহও চরম বিপর্যয়ের কবলে পরে। লাইনের ত্র“টি দুর করে হাতেম আলী কলেজ ফিডারটিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিদ্যুৎ সরবাররহ শুরু করা সম্ভব হলেও বিভিন্ন এলাকায় ট্রান্সফর্মার ফিউজ পুড়ে যাওয়ায় দিনের প্রথমভাগ পর্যন্তই কয়েক দফায় লাইন বন্ধ করে সেসব ত্র“টি দুর করতে হয়েছে।
বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বরিশালে ২৮মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বহু কাঙ্খিত এ বর্ষনের ফলে আজ সকালে বরিশাল মহানগরীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আসে, যা বুধবার সকালে ছিল ২৭.৫ ডিগ্রী। বুধবার দুপুরে বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রী, যা স্বাভাবিকের প্রায় ৩ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশী ছিল। ঐদিন পটুয়াখালীতে তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৩৫.৮ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এ বর্ষনের ফলে দক্ষিণাঞ্চলে আউশ আবাদে যথেষ্ঠ অনকুল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশে মোট আবাদকৃত আউশ ধানের ২০ভাগেরও বেশী আবাদ হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলে। শাক সবজি সহ অন্যান্য ফসলের জন্যও এ বর্ষন যথেষ্ঠ সহায়ক হবে বলে মনে করছেন কৃষিবীদগন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন