দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমাদের দেশের দুর্নীতির প্রতিকার নয়, প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে। সকল নাগরিক সমানভাবে সেবা পায় তারও ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য সরকারী সকল কর্মকর্তাদের সরকারের এ্ই সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সারা পৃথিবীতে দুর্নীতিতে ১৪৫তম স্থানের মধ্যে বাংলাদেশ ১৪৩তম স্থানে আছে। টিআইবি বলছে দুদকের অবস্থা বেশী ভাল নয় কিন্তু তারা পরিস্কার করে এ ব্যাপারে কিছু বলেনি। ২৩ টি জেলায় আমাদের দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির অফিস আছে। সারা দেশেই পর্যায়ক্রমে দুর্র্নীতি প্রতিরোধ কমিটির অফিস করা হবে। অনেক সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে। অনেক সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে দুদকের মামলার ভয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা মৃত্যুবরণ করেছে। বর্তমানে দুর্নীতি কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধে অনেক সোচ্চার। আমাদের কলেবর আরো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার এজন্য আমাদের প্রচুর অর্থের যোগান দিচ্ছে। বর্তমান সরকারও দুর্নীতি দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি আজ দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগীতায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুদকের গণ শুনানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের পরিচালক মোঃ আক্তার হোসেন, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহে এলিদ মাইনুল আমীন ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বেগম বেদৌড়া আলী প্রমূখ।
দূর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক আয়োজিত দুদকের এই গণশুনানীতে সাধারন মানুষের ৩৯টি অভিযোগ দাখিল হয়। গণশুনানীতে ২৭টি অভিযোগ উত্থাপিত হলে এ বিষয় নিয়ে গণশুনানী হয়। পরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে ৭ থেকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে উত্থাপিত অভিযোগের নিষ্পত্তির সময় নির্ধারন করে দেন দুদক কমিশনার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন