বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির, শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসমাঈল নুরপুরী বলেছেন, আল্লাহর আদালতে জবাবদিহিতার ভয় না থাকলে কোন শাসকরাই এই দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে পারবে না, দিতে পারবে না সুশাসন। শাসকরা খোদাভীরু হলে সে দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্যও খোদাভীরু হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়। খোদাভীরু শাসকদের নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করতে হয় না। জনগণই শাসকদের নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, সৎ শাসকদেরকে সে দেশের জংলি জানোয়াররাও সম্মান করে, ভয় পায়। হযরত ওমরের (রা) খেলাফতের সময় হিংস্র বাঘ ও জঙ্গলের নিরীহ প্রাণীরাও মিলেমিশে বসবাস করত। ইতিহাস সাক্ষী সেকালে রোমানরাও হযরত ওমরকে সমীহ করে চলত।
তিনি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শিবপুরের শাষপুর দারুল উলুম হোসাইনিয়া মাদরাসায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মাহফিলে তাফসির পেশ করেন মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা জুবায়ের আহমদ আনসারী। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মজলিসের নরসিংদী জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুর নূর, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি ইলিয়াস শেরপুরী, মাওলানা সুলতান উদ্দিন নূরী, হাফেজ মাওলানা আব্দুল বাসেত কাসেমী, হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রসুলপুরী। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন এম এ হালিম মাস্টার। সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা জুবায়ের আহমদ আনসারী বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান মুত্তাকী হলে সে রাস্তায় কখনোই দুর্নীতি বাসা বাঁধতে পারবে না। সৎ ও মুত্তাকী হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে কোরআন হাদিসের শিক্ষা। কোরআনের শিক্ষা না থাকলে খোদাভীরু হওয়া যায় না। মনে আল্লাহভীতিও সৃষ্টি হয় না। তিনি বলেন রুহের শক্তি হচ্ছে রোজা, নামাজ ও জিকির। একমাস রোজা পালন করলে মানুষের মধ্যে তাকওয়ার শক্তি অর্জিত হয়। আর এই তাকওয়ার শক্তি হচ্ছে দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন