শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নতুন ১৭ অভিযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে এবার নতুন আরও ১৭টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ২০১০ সালে শ্রেণিবদ্ধ সামরিক ও ক‚টনৈতিক দলিল প্রকাশ করে অ্যাসাঞ্জ আমেরিকার গুপ্তচরবৃত্তির আইন লঙ্ঘন করেছেন মর্মে তার বিরুদ্ধে নতুন এসব অভিযোগ এনেছেন মার্কিন বিচার বিভাগ।
এর আগে গত মাসে অ্যাসাঞ্জ গ্রেফতার হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তখন তাদের অভিযোগ ছিল, পেন্টাগনের নেটওয়ার্কের অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য সাবেক গোয়েন্দা বিশ্লেষক চেলসি ম্যানিংয়ের সঙ্গে অ্যাসাঞ্জের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়া।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, অবৈধভাবে তথ্য প্রাপ্তি এবং তা প্রকাশ করে দেওয়ার মতো অপরাধের সর্বশেষ এসব অভিযোগও তাকে সাজা ভোগ করাবে বলে আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টরা। তিনি বর্তমানে আদালতের দেওয়া জামিনের শর্ত ভঙ্গ এবং প্রায় সাত বছর ধরে পালিয়ে থাকার কারণে ৩৫০ দিনের কারা ভোগ করছেন যুক্তরাজ্যে।
উল্লেখ্য, সুইডেনের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০১২ সাল থেকে প্রায় সাত বছর পালিয়ে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের ভেতরে আশ্রয়ে ছিলেন আলোচিত এ প্রোগ্রামার। অবশেষে ইকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল হয়ে গেলে গত ১১ এপ্রিল দূতাবাসের ভেতর থেকেই তাকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ। তবে ৪৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক অ্যাসাঞ্জ সবসময়ই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
গত ১ মে আদালতের দেওয়া জামিনের শর্ত ভঙ্গ এবং প্রায় সাত বছর পালিয়ে থাকার কারণে তাকে ৫০ সপ্তাহের কারাদন্ড দেন লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্ট। যদিও আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে বারবার বিক্ষোভ করে আসছেন অ্যাসাঞ্জ সমর্থকরা। রায় ঘোষণার পর এর প্রতিবাদ এবং অ্যাসাঞ্জের মুক্তি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা মার্কিন দূতাবাসগুলোর গোপন তারবার্তা উইকিলিকসে প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সেই বার্তায় মার্কিন ক‚টনীতিকদের গোপন তথ্যও ফাঁস হয়ে যায়। এরপর থেকেই অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতার চেয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া একইসময়ে সুইডিশ কর্তৃপক্ষও তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উত্থাপন করে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল সেসময় থেকেই। পরে পালিয়ে ২০১২ সালে ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। দূতাবাসের ভেতরেই তাকে কাটাতে হয় সাতটি বছর; বের হওয়ার কোনো উপায় ছিল না; গ্রেফতার হবেন বলে। সূত্র: বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন