বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভোলায় তেরপল দিয়ে মাদ্রাসার ছাউনি, বৃষ্টি এলেই চলে যায় ছাত্র ছাত্রীরা

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৯, ১:১৪ পিএম

লালমোহনে তেরপাল দিয়ে ছাউনিকৃত রমাগঞ্জ তোফায়েলিয়া মাদ্রাসা


ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ তোফায়েলিয়া দাখিল মাদ্রাসায় তেরপাল দিয়ে ছাউনি এবং কিছু অংশ ছাউনি বিহীন মাদ্রাসায় ক্লাস করতে হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের। বৃষ্টি আসলেই চলে যায় ছাত্র ছাত্রীরা।ব্যাহত হচ্ছে লেখা পড়া।
গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় তেরপাল দিয়ে চালের ছাউনি ও কিছু অংশ ছাউনি বিহীন এলো মেলো কিছু নির্মিত করা একটি মাদ্রাসা। যেন একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি স্থান। উক্ত মাদ্রাসার সুপার জমিয়াতুল মোদারেছিনের লালমোহন উপজেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মোঃ হোসেন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন এই এলাকায় কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলনা। তার পর আলহাজ্ব মাওঃ আবুল হাসেম সাহেবের উদ্যোগে মাদ্রাসাটি ১৯৮৪ ইং সনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৯৪ ইং সনে এমনিও ভুক্ত হয়। স্থানীয় মানুষের সাহায্যার্থে এ মাদ্রাসাটি নির্মিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে প্রায় প্রতি বছরই ভাল ফলাফলের মাধ্যমে লেখাপড়া চলে আসছে।কিন্তু ২০১৮ সালে ঝড়ের কবলে পরে মাদ্রাসাটি হেলে পরে। সে অবস্থায় ছিল। কিন্তু প্রথম দফা গত ২৫/০২/১৯ইং টর্নেডোর অঘাতে মাদ্রাসাটির চালের ছাউনি উপরে ফেলে দেয়।এতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। দিত্বীয় দফা গত ঘূর্ণিঝড় ফনির আঘাতে মাদ্রাসাটি সম্পুর্ন বিধ্বস্ত হয়ে পরে যায়। তারপর শিক্ষকদের কিছু চাঁদা ও কিছু ধার দেনা করে বিভিন্ন ভাবে মাদ্রাসাটি নির্মাণের চেষ্টা করছি। চালে টিনের পরিবর্তে তেরপাল( এক প্রকারের মোটা পলিথিন) দিয়ে রাখছি।কিন্তু বৃষ্টি আসলেই ঘড়ের ছাউনি না থাকায় বৃষ্টিতে ছাত্র ছাত্রীদের বই পুস্তুক অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিজে যায়। ঠিকমত ক্লাস নেয়া যায় না। ব্যাপক ব্যাহত হচ্ছে লেখা পড়ার। বৃষ্টির ভয়ে ছাত্র ছাত্রীরা নিয়মিত ক্লাসে আসেনা। ছাউনি না থাকিয়া রোদ বৃষ্টি উভয়ই সমস্যা হচ্ছে । ক্লাসরুম সম্পুর্ন বিধ্বস্ত। বর্তমানে উক্ত মাদ্রাসায় ৪৫০ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে।এ বছরও দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আর্থিক অভাবে মাদ্রাসাটির নির্মাণের কাজ করতে পারছি না।তাই মাদ্রাসাটি নির্মাণের লক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় সুদৃষ্টি কামনা করছি। স্থানীয় অভিভাবক কৃষক আবুল বাসার জানান এখানে খুব ভাল লেখা পড়া চলছিল কিন্তু বন্যায় মাদ্রাসাটি নষ্ট হওয়ার পরে ছাত্র ছাত্রীরা ঠিকমত পড়তে পারে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন