ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ফেনীর ঈদ বাজার তত জমে ওঠছে। বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। প্রতিদিন গ্রাম-লোকালয় ফেনীতে শহরের বিভিন্ন বিপণী বিতানে কেনাকাটা ও পছন্দের শাড়ি জামা কাপড় দেখতে আসছে ক্রেতারা। ফেনী শহর আকারে ছোট হলেও এখানে অনেকগুলো নামিদামি মার্কেট রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের বৃহত্তম মার্কেট গ্রান্ড হক টাওয়ার ফেনীতে অবস্থিত। এবার ঈদ বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেশি এ মার্কেটেই। দেশের নামীদামী ব্রান্ডের জিনিসপত্র সমাহার রয়েছে হক টাওয়ারেই। তাছাড়া খোলামেলা ও বৃহৎ পরিসরে ঘুরে ফিরে এ মার্কেটেই কেনাকাটার সুযোগ পাচ্ছে ক্রেতারা।
শহরের পুরনো মার্কেট শহীদ হোসেন উদ্দীন বিপনী বিতান। এ মার্কেটে ঈদ ছাড়াও ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে। বর্তমানে ঈদের বাজার আরো গরম। ঈদে কেনাকাটায় ফেনী সেরা স্থান দখল করে আছে হোসেন উদ্দীন বিপনী বিতান। শহরের কলেজ রোডে অবস্থিত হওয়ায় এ মার্কেটে কলেজের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব ক্রেতারা এখানে কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকে।
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে অবস্থিত সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মার্কেট হলো এফ রহমান এসি মার্কেট। এখানে আরামদায়ক পরিবেশের কারণে ক্রেতা সমাগম বাড়ে। বছরের অন্যান্য সময় ক্রেতাদের তেমন দেখা না গেলেও ঈদের সময় এ মার্কেটে প্রচুর ক্রেতা সমাগম হয়। ক্রেতারা পছন্দের জিনিস কেনার চাইতেও গরমে আরাম পেতে এ মার্কেটে আসতে বেশি আগ্রহী। এসি মার্কেটের ক্রেতাদের বেশিরভাগই তরুণ। আধুনিক ডিজাইনের পোশাকের সমাহার রয়েছে এ বিপনী বিতানেই।
এছাড়া শহরের গ্রীন টাওয়ারে ক্রেতাদের সমাগম চোখে পড়ছে বেশি। এখানে প্রথম এবং দ্বিতীয় তলায় ভিড় করছে ক্রেতারা। শহরের বড় বাজারের আলী আহমদ টাওয়ারে কাপড়ের দাম কম। এমন একটি প্রবাদের প্রচলন থাকায় সেখানেও যাচ্ছে ক্রেতারা। এ টাওয়ারের নিচতলা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় চলছে ঈদ বাজার ও ঈদের কেনাকাটা। ঈদের বাজারে পুরুষের চাইতে মেয়েদের ভিড় বেশি। উঠতি বয়সি তরুণ তরুণী আর মাঝবয়সি নারীরা ফেনীর বিভিন্ন ঈদ বাজারে ভিড় করছে। অভিযাত বিপনী বিতানের ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের ঈদে তরুনীদের পছন্দেও মধ্যে বোম্বে জামা, পাকিস্তানী জামা, টিস্যু জামা, রাউন্ড জামা, ইন্ডিয়ান গ্রাউন্ড, ভার্বি গ্রাউন্ড, টিস্যু গ্রাউন্ড, সরনী ফ্যাশনের জামা, রৌশনী ফ্যাশনের জামা, এস ফ্যাশনের জামা, থ্রি-পিচ, বিনয়, বিরেক ও হানচা জামা বেশি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে শাড়ির মধ্যে ইন্ডিয়ান কাতান, বেনারসি, জর্জেট, ঢাকাই জামাদানী, কাতান শাড়িগুলো বিশেষ করে মহিলা ক্রেতা সাধারনের কাছে বেশি বিক্রি হচ্ছে। পুরুষ ক্রেতাদের পাঞ্জাবী দোকানে ভিড় করতে দেখা গেছে এবং শিশুদের বেবীসপগুলোতে ভিড় ছিল লক্ষনীয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন গতবারের চেয়ে এবারের বেচাবিক্রিতে তারা সন্তষ প্রকাশ করেন। ঈদে ক্রেতা সাধারণের নিরাপত্তার বিষয়ে কয়েকটি মার্কেটের সভাপতি-সম্পাদক জানান, এবারের ঈদে মার্কেটগুলোতে প্রশাসন, মার্কেট কমিটি পক্ষ থেকে সর্বচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটা মার্কেটের ভেতরে বাইরে বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটবেনা এবং ক্রেতা সাধারন নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের কেনাকাটা করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন