এডভোকেট আবিদা সুলতানার খুনি তানভির আহমদকে সোমবার দুপুর সোয়া একটার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুছ ছালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান ঘাতক তানভির আবিদার পৈতৃক বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতো ও পাশের মাদবকুল জামে মসজিদের ইমামতি করতো। সে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আমানদি গ্রামের ময়নুল ইসলামের পুত্র।
এদিকে মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট আবিদা সুলতানার খুনিকে গ্রেফতার দাবিতে জেলা আইনজীবী সমিতির আহ্বানে সারাদিন কোর্ট বর্জন কর্মসূচী মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট এ এস এম আজাদুর রহমান আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরেল আহমেদ চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন অবিলম্বে আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লেখ্য রোববার রাত সাড়ে ১১ টায় জেলার বড়লেখা উপজেলার মাধবগুল গ্রামে দূর্বৃত্তের হাতে নির্মমভাবে খুন হন আবিদা।
নিহত আবিদা সুলতানা বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে। আবিদার স্বামী শরীফুল ইসলাম একটি ওষুধ কোম্পানিতে মৌলভীবাজারের রিপেজেন্টেটিভ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে মৌলভীবাজারে শহরে বসবাস করতেন।
খবর পেয়ে বড়লেখা থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মৌলভীবাজারের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আবিদার আত্মীয় শিমুল চৌধুরী জানান, উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়ে। বাবার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় মেয়ের বাড়ি বিয়ানীবাজারে মা থাকেন।
আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়ে বিবাহিত। তাদের মধ্যে আবিদা সুলতানা (৩২) সবার বড়। আবিদা মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
আবিদার পৈতৃক বাড়িতে কেউ না থাকায় খালি বাড়িটিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আমানদি গ্রামের ময়নুল ইসলামের পুত্র তানভির আহমদ স্ত্রী ও মাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
রোববার আবিদা বিয়ানীবাজারে বোনের বাড়িতে থেকে মৌলভীবাজার যাওয়ার পথিমধ্যে জরুরী প্রয়োজনে বাবার বাড়িতে আসেন। বিকেল ৪টরি দিকে আবিদার বোন তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাচ্ছিলেন না।
পরে আবিদার বোনেরা তাকে খুঁজতে বাবার বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে তারা আবিদাকে পাননি। এসময় বাড়ির একটি কক্ষ তালা দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে মেঝেতে বোনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহত আবিদার বোনের স্বামী মারুফ আহমদ জানান, সকালের দিকে অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানা তাদের বাসা থেকে মৌলভীবাজারে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েন। বিকেলে তাঁর খোঁজ নিতে আবিদার ফোনে কল করে তারা তাকে না পেয়ে খোঁজতে বের হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন