বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জটিলতা ছাড়া সিজার নয়

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সিজার না করানোর পারামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জহেদ মালেক বলেছেন, সন্তান প্রসবকালে খুব জটিল পরিস্থিতি না হলে প্রসূতির সিজার করাবেন না। একই সঙ্গে তিনি জটিলতা এড়াতে সন্তান প্রসবের সময় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

গতকাল সচিবালয়ে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য আমাদের পরামর্শ হলো- প্রসবের জন্য প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা। প্রসবকালে মায়ের খুব জটিল পরিস্থিতি না হলে সিজারিয়ান না করার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। দারিদ্র্যের হার কমলে এবং পুষ্টির হারের উন্নয়ন ঘটলে মাতৃমৃত্যু কমবে। এজন্য জনবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, মাতৃমৃত্যু হার কমাতে, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বৃদ্ধি, গর্ভকালীন জটিলতার ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় জরুরী প্রসূতি সেবা নিশ্চিতে ‘ডিমান্ড সাইড ফাইনান্সিং মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কীম’ চালু করা হয়েছে।

১৯৯৭ সাল থেকে দেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করা হচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, মাতৃমৃত্যু হার কমানোর ক্ষেত্রে এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জন সম্ভব না হলেও সরকার এ ব্যাপারে কাজ করছে। ২০১৫ সালে মাতৃমৃত্যু প্রতি লাখে ১৪৩ জন থাকার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে আমাদের দেশে এটা ছিল ১৭৬ জন। প্রতি লাখে ২০১৮-১৯ সালে এটা ১৭২ জনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ২০৩০ সালে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নে মাতৃমৃত্যু ৭০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

স্বাস্থ্যখাতে সরকারের উন্নয়নের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সেবা বাড়াতে জনবল নিয়োগ, নতুন হাসপাতাল নির্মাণ, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ঔষধপত্র সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে।
জাহিদ মালেক জানান, জাতিসংঘের সাধারণ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ৩ হাজার জন মিডওয়াইফ তৈরির লক্ষ্যে মিডওয়াফারি চালু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬শ নার্স ৬ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষ করে সার্টিফাইড মিডওয়াইফ এর সনদ পেয়েছেন। এরা সবাই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছেন।

এদিকে অনুষ্ঠানে কোলগেট টুথপেস্টে ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে ভালো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও অধিদফতরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সম্প্রতি টক্সিকোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, কোলগেট টুথপেস্টে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এটি ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে- এ সম্পর্কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কি-না এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, টুথপেস্ট একটি প্রসাধনী বা কসমেটিকস সামগ্রী। এটি আমদানি ও দেখভালের সাথে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসটিআই জড়িত। এ কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নয়, এর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন