স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলের সঙ্গে ওয়াশিংটনে ইসরাইলি রাজনীতিক মেন্দি এন সাফাদির ‘বৈঠক হয়েছে’ বলে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ মিথ্যা বলে তা নাকচ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলছেন, ওয়াশিংটন বা অন্য কোথাও ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির এই সদস্যের সঙ্গে তার কোনো বৈঠক হয়নি। সাক্ষাতের সাফাদির ওই দাবিও ‘বিএনপির ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে।
ইসরাইলি রাজনীতিক সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের একাধিক ছবি সম্প্রতি গণমাধ্যমে আসার পর সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করছেন, হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এখন ইহুদিদের সঙ্গে ‘ষড়যন্ত্র’ করছেন; সেই ষড়যন্ত্র থেকেই মেন্দি সাফাদি-আসলাম চৌধুরী বৈঠক।
এরইমধ্যে গত শুক্রবার সাফাদির একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে বিবিসি বাংলা অনলাইন। বিবিসির সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে সাক্ষাৎ হয়েছে বলে সাফাদি দাবি করেছেন।
ওই দাবি নাকচ করে রোববার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে জয় লিখেছেন, আমার সাথে সাফাদির কোনো সময়ই সাক্ষাৎ হয়নি, এটা ওয়াশিংটনেও না বা অন্য কোনো জায়গায়ও না। সে মিথ্যা বলছে।
সাফাদির এই দাবিকে বিএনপির ‘মিথ্যাচার’ আখ্যায়িত কওে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিএনপি এমনই এক বোকার দল, এমনকি তারা যখন মিথ্যা বলে তখনও বোকামিপূর্ণ ভুল করে। আমি চাই বিএনপি এবং সাফাদি একটা প্রশ্নের জবাব দিক। ওয়াশিংটনের ঠিক কোথায় সে (সাফাদি) আমার সাক্ষাৎ পেয়েছে? কোন অনুষ্ঠানে? অন্য কার অফিসে?
গত তিন-চার বছরে ওয়াশিংটনে কোনো অনুষ্ঠানে বা কারও অফিসে যাননি দাবি করে জয় বলছেন, যে মিটিংগুলো আমার হয়েছে সেগুলো সবই সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে এবং একান্ত ব্যক্তিগত। তাহলে কোথায় তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হতে পারে?
তার সঙ্গে বৈঠকের দাবির মধ্য দিয়ে সাফাদি বিএনপির সঙ্গে ‘ষড়যন্ত্রে’ জড়িত থাকার প্রমাণ দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সে যে বিএনপির জন্য মিথ্যা বলতে সম্মত হয়েছে সেটা দিয়ে এ ও প্রমাণ হচ্ছে, সে বিএনপির সাথে ষড়যন্ত্রে জড়িত। নাহলে আর কী কারণে সে বিএনপির হয়ে মিথ্যা বলবে?
যাচাই ছাড়া ওই খবর প্রকাশের জন্য বিবিসি বাংলার সমালোচনা করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
এটাও খুবই লজ্জাজনক যে বিবিসি বাংলা আসলেই সেই ভুয়া ইন্টারভিউটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ছাড়াই প্রচার করেছে। এ ঘটনা সংবাদের উৎস হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
গত শুক্রবার বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সাফাদির দাবির বিষয়ে জয়ের বক্তব্য তারা তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন