বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কাঁচপুর ফ্লাইওভার কাল খুলছে

যানজটমুক্ত হবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক

তরিকুল ইসলাম নয়ন, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আর যানজট নেই। যানজট নিরসনের লক্ষ্যে সরকার দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে নতুন করে তিনটি সেতু নির্মাণ করে। গত ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে গত মার্চ মাসে খুলে দেয়া হয়েছে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু। তিনটি সেতু খুলে দেয়ার পর পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। ব্যস্ত মহাসড়কে আর কোনো যানজট নেই। এবার খুলছে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর ফ্লাইওভার। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে আসা গাড়িগুলো এই ফ্লাইওভারের মাধ্যমে সরাসরি দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুতে উঠতে পারবে। এতে মহাসড়কের তিন মাথায় আর কোনো যানজট হবে না। আগামীকাল ৩১ মে শুক্রবার এই ফ্লাইওভার খুলে দেয়া হবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের উৎস ছিল তিনটি স্পট। কাঁচপুর সেতু, মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতু। চার লেনের মহাসড়কের সব সুবিধা ম্লান হয়ে যেতো এই তিনটি সেতু পাড়ি দিতে গিয়ে। দুই লেনের সেতু তিনটি দিয়ে যানবাহন পারাপার হতে গিয়ে প্রথমে তৈরী হতো দীর্ঘ লাইন। পরে তা যানজটে রুপ নিয়ে ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারন করতো। গত মার্চ মাসে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পর যানজট পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে আসা গাড়িগুলো কাঁচপুর সেতুতে ওঠার আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানবাহনের ভিড়ে আটকে থাকতো। দীর্ঘ সময় ধরে ট্রাফিক সিগনালের আশায় দাঁড়িয়ে থাকতো যানবাহনগুলো। সিলেট মহাসড়কের গাড়িগুলোকে সেতুতে ওঠার সুযোগ করে দেয়ার সময় আবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট লেগে যেতো।

গত ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও মেঘনা গোমতি সেতু দুটি যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। নিত্যদিনের ভয়াবহ যানজট একেবারে শেষ হয়ে যায়। তারপরেও দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুতে উঠতে গিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গাড়িগুলো যানজটে আটকে যেতো। এর প্রভাব পড়তো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও। এর আগে প্রতি বছর ঈদ আসলে যানজটের কবলে পড়ে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হতো ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের। তবে আসছে ঈদে কোন যানজট থাকবে বলে আশা করছেন সেতু কর্তৃপক্ষ। হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সেতু তিনটি চালুর হওয়ার পরও কাঁচপুর পয়েন্টে থেমে থেমে কিছুটা যানজট লেগে থাকে। কাঁচপুর ফ্লাইওভারটি চালু হলে সেটি আর থাকবে না।

গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচপুর পয়েন্টের পূর্বপাশ যানজট মুক্ত। তবে পশ্চিম পাশে কিছুটা যানজট রয়েছে। এ ব্যাপারে শিমরাইলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শরীফুল বলেন, এটি কাঁচপুর পয়েন্টের সিগনালের কারণে হয়ে থাকে। ফ্লাইওভার চালু হলে সিলেট মহাসড়ক ধরে আসা গাড়িগুলো সরাসরি সেতুতে গিয়ে উঠবে। তখন আর কোন যানজট থাকবে না। তিনি বলেন, ফ্লাইওভারটি চালু হলে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষজন নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারবে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম বলেন, ফ্লাইওভারটি চালূ হলে কোন কাঁচপুর পয়েন্টে আর কোন যানজট থাকবে না। নির্বিঘ্নে মানুষ ঈদে বাড়ি ফিরতে পারবে। এতে করে কাঁচপুর পয়েন্টের দীর্ঘদিনের যানজটের অপবাদ ঘুচবে বলে আশা করছি।

কাঁচপুর ফ্লাইওভার প্রকল্পের পরিচালক আবু সালেহ মোঃ নুরুজ্জামান জানান, ৮০ কোটি ব্যয়ে নির্মিত ফ্লাইওভারটি আগামী শুক্রবার ২টায় খুলে দেয়া হবে। আশা করছি ওই দিন থেকেই যানজটমুক্ত হবে কাঁচপুর পয়েন্ট। তিনি জানান, জাইকার ঋণ সহয়তায় ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করেছে সড়ক বিভাগ। এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানজটমুক্ত হওয়ায় এ মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী, শ্রমিক ও চালকরা মহাখুশি। কয়েকজন যাত্রী বলেন, কাঁচপুর অংশের সমস্যার সমাধান হলে আর কোনো বাধা থাকবে না। তখন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে চার ঘণ্টাও লাগবে না। ঢাকা-সিলেট মহাসহাসড়কে চলাচলকারি যাত্রী আলম হোসেন বলেন, সিলেট মহাসড়কটি এমনিতেই দুই লেনের। দুই লেনের মহাসড়ক হওয়ায় পুরো পথেই ঝামেলা। তার উপর সবচেয়ে বেশি ঝামেলা ছিল এই কাঁচপুর পয়েন্টে। দ্বিতীয় সেতুটি উদ্বোধনের পর যানজট পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ফ্লাইওভারটি চালু হলে আশা করছি এখানে আর কোনো যানজট হবে না। এটা খুবই ভালো খবর যাত্রী ও চালকদের জন্য।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩০ মে, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 0
In the year 2006 we were visiting Japan. We saw Bridges over the rivers inside Tokyo built immediate after world war 2 seemed constructed yesterday. And look at the conditions of our roads after only 6 months. I think we should not allow Bangladesh govt organization to do anything. Engage foreign countries (exclude India and China) to do our jobs.
Total Reply(0)
মাহমুদুল হাসান রাশদী ৩০ মে, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 0
Thank you honourable prime minister and the government. Carry-on the good work.
Total Reply(0)
Iron Man ৩০ মে, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 0
সরকারের কাজ আইন প্রণয়ন ও তার প্রয়োগ, নীতিনির্ধারণী তৈরি করা ইত্যাদি- আমার মনে হয় আমাদের সংবিধান তাই বলে। অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আছে, তারাই মানুষের প্রয়োজন এবং চাহিদা মাফিক এইগুলা বানাবে। ব্রিজ , কালভার্ট বানানোর পর এগুলা উদ্ভোদন করার জন্য এত আয়োজন করার মানসিকতা শুধু আমাদের মত কিছু উন্নয়নশীল দেশের উর্বর মস্তিষ্কের মানুষের মাঝেই বিদ্যমান। যারা এগুলো উদ্ভোদন করার জন্য আসে তাদের ভাবখানা এমন থাকে যেন তারা তাদের নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে এগুলো করছে।
Total Reply(0)
MD.ROJJOB ৩০ মে, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 0
কিন্তু একটা বিশেষ দল এগুলো সহ্য করতে পারবে তো? বিশেষ করে আওয়ামিলীগ সরকারের বিরোধীরা?
Total Reply(0)
Sujan roy ৩০ মে, ২০১৯, ১:২৯ এএম says : 0
ভাল খবর৷ আমাদের সরকার আরও ভাল উদ্দোগ নিলে জনগনের ভোগান্তি কমবে ৷শুভেচ্ছা রইল হাসিনা সরকারের প্রতি ৷
Total Reply(0)
Najmul Hossain ৩০ মে, ২০১৯, ১:২৯ এএম says : 0
বাংলাদেশের সকল গুরুত্ব পূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ কাজের দায়েত্ব জাপানীজ প্রতিষ্টান গুলো কে দেওয়াব উচিত।
Total Reply(0)
Satsaruf Rajib ৩০ মে, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 1
ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে। আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুক...আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন