বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সম্পদ বাড়াতে হলে জাকাত দিন

উবায়দুর রহমান খান নদভী | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৯, ১০:৩৮ পিএম | আপডেট : ১:০৫ পিএম, ৩১ মে, ২০১৯

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, আল্লাহর অভিপ্রায় হচ্ছে সুদকে ধ্বংস করা। আর জাকাতের দ্বারা সম্পদ ও বরকত বাড়িয়ে দেয়া। (আল-কোরআন)। দুনিয়াতে অসংখ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে যে, হারাম উপায়ে অর্জিত অর্থ-সম্পদের মালিকেরা চোখের পলকে পথের ফকির হয়ে গেছে। এক দুই পুরুষের ব্যবধানে সুদীকারবারি ভিক্ষার থালা হাতে রাস্তায় নেমেছে। সুদভিত্তিক বিলিয়ন-ট্রিলিয়নের ব্যবসা অকল্পনীয়ভাবে ধ্বসে গেছে। অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে নামী-দামি ব্যাংক, কর্পোরেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রিয়েল এস্টেটওয়ালারা দেউলিয়া হয়ে গেছে।

অঢেল টাকার মালিক একটি মাত্র রোগে ধন-সম্পদ সব হারিয়ে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় হয়েছে। পরস্ব অপহরণের দ্বারা ধনকুবের হয়ে যাওয়া লোকটি স্ত্রী-পুত্র-কন্যার সান্নিধ্যসুখ কিংবা আত্মীয়-পরিজন এমনকি ব্যক্তিগত সুখ-শান্তি থেকে ভীষণ রকম বঞ্চিত। অর্থের জোরে বা কৃত্রিম অহমিকাবোধ থেকে সে তেজ দেখালেও মানবিক দিক দিয়ে সে ভেতর থেকে ভয়ঙ্কর রকম ফাঁকা, যা পূরণের জন্য সে বোকার মতো মৌজমাস্তি, অপচয় বা মাদকের আশ্রয় নেয়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ এমন অর্থহীন জীবনের চিত্র আঁকতে গিয়ে বলেছেন, (ভাবার্থ) যারা সুদ খায় (হারাম টাকায় মিছে সুখ গড়ে তোলে) তারা যেন খেইহারা কোনো মাতাল। মনে করে আকাশে উড়বে, অথবা তাদের কেউ এসে ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে। অপরদিকে আল্লাহ দায়িত্ব নিয়েছেন হালালে বরকত দেয়ার। বলেছেন, যে আল্লাহকে ভয় করে চলে, তার ওপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। তিনি তাকে এমনভাবে রিজিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করে না। (আল- কোরআন)।

রমজানের আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। ঈদের চাঁদ ওঠা পর্যন্তই রমজান থাকবে। এমনিতে আল্লাহ যে কোনো মানুষকে একটি নেক আমলের বিনিময়ে দশটি নেকি দিয়ে থাকেন। তার নিয়ত ও আন্তরিকতা অনুযায়ী কাউকে সত্তরটি আর কাউকে ৭শ’টি, এরপর তিনি যাকে চান যত গুণ ইচ্ছা দিয়ে থাকেন। রমজানে একটি ফরজের সওয়াব কমপক্ষে সত্তর গুণ করা হয়।
যারা জাকাত দেন তারা এক টাকার বিনিময়ে সত্তর টাকার সওয়াব কমপক্ষে পাবেন। যার এক লাখ বা এক কোটি টাকা জাকাত এসেছে তিনি রমজানের ভেতর এ জাকাত দেয়ার নিয়ত করলে বা দিয়ে দিলে সত্তর লাখ বা সত্তর কোটি টাকার সওয়াব পাচ্ছেন। এ সুযোগ কোনো ঈমানদার বুদ্ধিমান ব্যক্তি হাতছাড়া করতে পারে না। আপনিও এ সুযোগ হেলায় হারাবেন না।

জাকাতদাতার সম্পদের হেফাজতের দায়িত্ব আল্লাহর। হেফাজত শুধু নয়, আল্লাহ চান যে জাকাতভিত্তিক অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থা সুসংহত হোক। বরকতময় হোক। জাকাত দিলে নিজ ও নিজ বংশধরের মধ্যে দীন-ঈমান টিকে থাকে। সুন্দর মন-মানসিকতা, মানবিক গুণাবলি সুরক্ষিত থাকে। মানবতা, সুস্থ অনুভূতি ও নৈতিক পবিত্রতা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে জাকাত না দিলে সম্পদ বিষযুক্ত হয়ে যায়। অপবিত্র হয়ে যায়।

জাকাত শব্দের অর্থই হচ্ছে পবিত্র করা। জাকাত দিলে শারীরিক-মানসিক-আধ্যাত্মিক সুস্থতা বজায় থাকে। মন আল্লাহর দিকে ধাবিত হয়। কুচিন্তা, পাপচিন্তা, শয়তানের ধোঁকা ও নফসের প্ররোচনা থেকে মানুষ রক্ষা পায়। জাকাত না দিলে অর্থের দম্ভ বা মোহ মানুষকে যে কোনো সময় অধীর ও অবিবেচক বানিয়ে তোলে। যার ফলে সে বা তার স্ত্রী-সন্তান এমন কোনো কুকীর্তি করে বসে যা তার সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দেয়। অতীত বংশীয় গৌরব ধ্বংস করে। অর্থ ক্ষয় করে। পারিবারিক সুখ বিনষ্ট করে। সামাজিক শান্তি ও মর্যাদা বিঘিœত করে। সর্বোপরি আখেরাত বরবাদ করে দেয়। যার চেয়ে বড় ক্ষতি মানবজীবনে আর কিছু হতে পারে না।

জাকাত চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী, চোর-ডাকাত এমনকি রাষ্ট্রের রোষানল থেকেও জাকাতদাতাকে রক্ষা করে। আল্লাহর রহমতের ফেরেশতারা জাকাতদাতাকে হেফাজত করেন। আর জাকাত না দিলে জমাকৃত এসব সম্পদই পরকালে তার শাস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহ বলেন, যারা সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে, হাশরের দিন এসবকে আগুনে গরম করে তাদের কপাল চেহারা ও দেহের নানা অংশে ছেঁকা দেয়া হবে। হাদিসে এসেছে, সম্পদ সাপের আকারে তাদের গলায় ঝুলবে আর ছোবল দেবে। বলবে, আমরা তোমার সে সম্পদ, যা তুমি পাওনাদার ও বঞ্চিতদের না দিয়ে কুক্ষিগত করে রেখেছিলে।

জাকাত খুব সহজ একটি আমল। চলতি রমজানে দৈনিক ইনকিলাবে জাকাত সংক্রান্ত যতগুলো তথ্য ও বর্ণনা প্রকাশিত হয়েছে ডিজিটাল যুগের যে কেউ এক মুহূর্তের মধ্যেই এসব এক জায়গায় জমা করে নিজ আয়ত্তে নিতে পারেন। জাকাত বিষয়ে হ্যান্ডনোট তো বটেই একটি ভালো গ্রন্থ পেয়ে যাবেন। জাকাত দেয়ার তারিখ ঠিক করে নিয়ে, বছরে সে তারিখটিতেই নিজের জাকাতযোগ্য সম্পদের হিসাব করে সেদিনের স্থিতির ওপর জাকাত দিতে হয়।

একান্ত ব্যক্তিগত পর্যায়ে মুখে মুখে হিসাব করলেও চলে। হিসাব একটু বিস্তারিত হলে কাগজ-কলম হাতে নিতে হয়। যারা বড় অর্থনৈতিক লেনদেনে জড়িত তারা অ্যাকাউন্টস যেভাবে মেইনটেইন করেন জাকাতের জন্য এরকমই একটি ফাইল রাখবেন। সব আয় সম্পদ তথ্য জমা হবে, জাকাত দিবসে হিসাব কমপ্লিট করে জাকাত দিয়ে দেবেন। প্রয়োজনে জাকাত বিষয়ে বিজ্ঞ পরামর্শকের সাহায্য নেবেন। জাকাত আন্দাজ করে দিলে আদায় হয় না। নিখুঁত হিসাব করে দিতে হয়।

জাকাত দিতে মানুষ দ্বিধা করে কেন? কেন দিতে চায় না? বরং এ টাকাটি স্বয়ং আল্লাহকে দেয়ার মতোই। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এ মর্মে বলেছেন, তোমরা যা কিছু আল্লাহর পথে ব্যয় করো এসবই আল্লাহর কাছে সুরক্ষিত থাকে। আল্লাহ এসব বাড়াতে থাকেন। বহুগুণে বৃদ্ধির পর সেসব তোমাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে। আল্লাহ মানুষের ছোট- বড় কোনো আমলই বিনষ্ট হতে দেন না। কোরআনের এ কনসেপ্ট থেকে দান, ছদকা ও জাকাতের গুরুত্ব আমরা বুঝতে পারি।

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, হাশরের দিন আল্লাহ বলবেন, আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম তোমরা আমাকে খেতে দাওনি। আমি রুগ্ন ছিলাম তোমরা আমার চিকিৎসা করোনি। আমি অভাবী ছিলাম তোমরা আমাকে সাহায্য করোনি ইত্যাদি। মানুষ তখন বলবে, হে আল্লাহ আপনি সর্বশক্তিমান ও সকলের স্রষ্টা। অপনি কিভাবে ক্ষুধার্ত, অভাবী ও রুগ্ন হতে পারেন? তখন আল্লাহ বলবেন, আমার অভাবী ও দুঃখী বান্দারা তোমার কাছে গিয়েছিল, কিন্তু তুমি তাদের কিছুই দাওনি। যদি দিতে তাহলে তা আমাকেই দেয়া হতো। আর এর বিনিময় আজ তোমরা আমার কাছে পেতে।

এ জন্যই হাদিস শরীফে বলা হয়েছে, সমস্ত সৃষ্টি আল্লাহর বৃহৎ পরিবার। সব চেয়ে উত্তম ব্যক্তি সেই, যে মানুষের বেশি উপকার করে। যদি কেউ নিজের শত সহ¯্র কোটি টাকার বাড়ি-ঘর, কলকারখানা, খেত-খামার, নগদ টাকা একজনকে দিয়ে দেয় আর বলে আমার কিছু লোক আছে তাদের বছর শেষে তুমি তোমার প্রবৃদ্ধিশীল অংশ থেকে শতকরা আড়াই ভাগ দিয়ে দিও।

এটি আমি মালিকের অংশ। তাহলেই তোমাকে দেয়া আমার সব কিছুই তোমার জন্য বৈধ, স্থায়ী ও পবিত্র। আমার নিরাপত্তা ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত তুমি পেয়ে যাবে। এরপর যদি অকৃতজ্ঞ এ লোকটি সব কিছু ভোগ করা সত্তে¡ও মালিকের ক্ষুদ্র অংশটি তার লোকদের না দেয়, তাহলে সে কি বিশ্বের সব চেয়ে বড় অকৃতজ্ঞ নয়? সে কি শাস্তি ও বিচারের যোগ্য নয়? জাকাতও ধনী লোকেদের জন্য এমনই একটি বিষয়।

অতএব, সব ধনসম্পদ স্বাস্থ্য সম্মান মেধা বুদ্ধি কৌশল সহায় সম্পত্তি সন্তান বিত্ত ইত্যাদির মূল মালিক ও মহান দাতা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নির্ধারিত সামান্য অংক যে বান্দারা দিতে চায় না, তাদের সুমতির জন্য আমরা সর্বশক্তিমানের দরবারে মোনাজাত ছাড়া আর কী করতে পারি। আল্লাহ যেন সবাইকে ঈমান, কৃতজ্ঞতাবোধ ও সঠিক জ্ঞান দান করেন।
রমজানের সময় বয়ে যাচ্ছে। আর কয়েকটি দিন রাত মাত্র। আল্লাহ সবাইকে দিনে রোজা রাখার, রাতে যথাসম্ভব অধিক নামাজ পড়ার, সব ধরনের গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার, বেশি বেশি ভালো কাজ করার, বিশেষ করে সম্পদের জাকাত দেয়ার, ফিতরাসহ অন্যান্য দান ছদকা গিফ্ট-উপহার আত্মীয়স্বজনের হক আদায় ইত্যাদি অমূল্য ইবাদত করে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের সুযোগ দিন। রমজানে যে অসংখ্য অগণিত বান্দাকে আল্লাহ জান্নাতে নেয়ার ফায়সালা করে থাকেন, তাতে যেন আমাদের সবাইকেও তিনি দয়া করে শামিল করেন। আসুন, জাকাতসহ সকল নেক কাজের এ সোনালি সময়টি কাজে লাগাই। জান্নাতি এ আহবানে সাড়া দেই। ইবাদতের ও সওয়াব লাভের এ মৌসুম কিন্তু খুব দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (31)
Md Rafsanjani Hemel ৩১ মে, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
নামাজ যেমন ফরজ যাকাত আদায় করা ও ফরজ সম্পদশালী লোকেদের।
Total Reply(0)
মো রিয়াজুল ইসলাম ৩১ মে, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
নামাজ যেমন আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে তেমনি যাকাতও সম্পদকে পরিশুদ্ধ করে। যাকাত দানের ফলে যাকাত দাতার সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সম্পদের উপর থেকে বালা, মুসিবত দূর হয়।
Total Reply(0)
সানী ৩১ মে, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
ইরশাদ হয়েছে, ‘আলাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তোমরা যে যাকাত দাও, প্রকৃত পক্ষে সেই যাকাত তোমাদের সম্পদ বৃদ্ধি করে’। (সূরা রূম, আয়াত-৩৯)। সুবহানাল্লাহ।
Total Reply(0)
মিজানুর রহমান ৩১ মে, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
আবশ্যই সম্পদ বাড়ে। একবার হযরত ইমাম জাফর সাদেক তার পুত্রকে বললেন, তোমার কাছে খরচ করার মতো কী আছে। পুত্র বললেন, ৪০ দিরহামের মতো। ইমাম সাহেব বললেন, এটা দান করে দাও। পুত্র বললেন, আব্বা, আপনি ভেবে বলছেন তো? সংসারের ব্যয় নির্বাহের জন্যে এ কয়টি দিরহামই আমাদের আছে। দিয়ে দিলে কাল থেকে খরচ করার মতো একটি কপর্দকও থাকবে না। ইমাম জাফর সাদিক বললেন, তুমি কি জান না যে, প্রত্যেক জিনিসের যেমন একটি চাবিকাঠি থাকে, তেমনি সমৃদ্ধির চাবিকাঠি হচ্ছে দান? তুমি দিয়ে দাও। দেখ, আল্লাহই সম্পদে বরকত দেবেন। তা-ই হলো। এর মধ্যে ১০ দিনও যায়নি, তার আগেই অন্য একটা কার্যোপলক্ষে জাফর সাদিক এবং তার পুত্র ৪ হাজার দিনার পেলেন!
Total Reply(0)
হাসিবুল ইসলাম ৩১ মে, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
সূরা সাবার ৩৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন, তোমরা অন্যের জন্যে যা-কিছু ব্যয় করবে, তিনি তার প্রতিদান দেবেন। তিনিই শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।
Total Reply(0)
জহির মাসুম ৩১ মে, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
সুন্দর লেখনী। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশে জাকাত ব্যবস্থা চালু করা গেলে এদেশের অতিরিক্ত জনসংখ্যা আর সমস্যা হয়ে থাকবে না।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩১ মে, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
আল্লাহতায়ালা আমাদের যাদের সামর্থ আছে তাদের নিয়মিত জাকাত দেওয়ার তৌফিক দিন।
Total Reply(0)
নাজমুল হাসান ৩১ মে, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 0
জাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি চালু করা গেলে এদেশে দারিদ্রতা দিনে দিনে দূর হয়ে যাবে। শুকরিয়া েএত সুন্দর একটা লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।
Total Reply(0)
তামিম মাদানী ৩১ মে, ২০১৯, ১:৫২ এএম says : 0
সম্মানিত কুরআন শরীফ ও সম্মানিত হাদীছ শরীফ অনুযায়ী সুদ হচ্ছে হারাম। হারাম থেকে কখনো হালাল বা ভালো কিছু বের হয় না। হারাম থেকে হারামই বের হয়। পাত্রে আছে যা, ঢালিলে পড়িবে তা। পাত্রে ময়লা রেখে ঢাললে মধু পড়বে- এরূপ চিন্তা করা যেমন বোকামি; তেমনি দারিদ্র্য নিরসনে যাকাতভিত্তিক অর্থনীতি চালু না করে সুদভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করাটাও বোকামি। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি যে বিষয়টাকে হারাম করেছেন, ঐ বিষয়ের মধ্যে কোনোদিন ভালো কোনো কিছু আশা করা যায় না।
Total Reply(0)
শেখ নাঈম ৩১ মে, ২০১৯, ১:৫২ এএম says : 0
দারিদ্র্য থেকে বাঁচতে হলে যাকাতভিত্তিক অর্থনীতির কোনো বিকল্প নেই। এই বিষয়টি আমাদের দেশের মুসলমান সরকারকেও বুঝতে হবে এবং অতিশীঘ্রই যাকাতভিত্তিক অর্থনীতি আমাদের বাংলাদেশে জারি করতে হবে।
Total Reply(0)
নুরুল ইসলাম ৩১ মে, ২০১৯, ১:৫৩ এএম says : 0
যাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থার পরিবর্তে বর্তমানে সমাজে এখন সুদভিত্তিক অর্থনীতি চালু থাকার কারণেই ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে আর গরিবরা হচ্ছে আরো নি ষিত নির্যাতিত। এই অবস্থার পবিবর্তন করতে হলে যাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা চালুর কোন বিকল্প নেই
Total Reply(0)
দবির মোল্লা ৩১ মে, ২০১৯, ১:৫৮ এএম says : 0
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক হলো দারিদ্রতা। ক্রমবর্ধমান দারিদ্রতা বর্তমান বিশ্বের উন্নয়নকারী দেশসমূহের সামনে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় দারিদ্র বিমোচন গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে স্থান পেয়েছে বহু পূর্বেই। বিভিন্ন দেশের সরকারের পরিকল্পিত প্রয়াসের ফলে দারিদ্রের প্রকটতা কিছুটা হ্রাস পেলেও এর ব্যাপকতা ও গভীরতা মারাত্মক উদ্বেগের বিষয়। সর্বোচ্ছ বিশ্ব সংস্থা (জাতিসংঘ) কর্তৃক ঘোষিত ‘Millennium development Goals’ এর অন্যতম প্রধান অঙ্গ দারিদ্র বিমোচন। এতো কিছুর পরেও দারিদ্র কমে না বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে, মাত্র কয়টা টাকার জন্য নারী তার সতীত্ব পর্যন্ত বিকিয়ে দিচ্ছে। ‘মা’ তার সন্তানকে ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে বিক্রি করে দিচ্ছে। ডাষ্টবিনের ময়লা পচা-বাসি খাবার খাওয়ার জন্য কুকুর মানুষ এক সাথে লড়াই করছে। এ অবস্থা মুক্তির জন্য জাতাকভিত্তিক অর্থনীতির কোন বিকল্প নেই।
Total Reply(0)
বিবেক ৩১ মে, ২০১৯, ১:৫৮ এএম says : 0
আশ্চর্যের বিষয় হলো দারিদ্রের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলেও বিশ্বের মোট সম্পদের পরিমাণ মোট জনসংখ্যার প্রয়োজনের তুলনায় কিন্তু কম নয়, বরং অনেক বেশি। আসলে মূল সমস্যা হলো বন্টন ব্যবস্থায়। যে সমস্যার সমাধানে ইসলামের যাকাত ব্যবস্থার কার্যকারিতা ঐতিহাসিক প্রমাণিত।
Total Reply(0)
মতিউর রহমান ৩১ মে, ২০১৯, ১:৫৯ এএম says : 0
যাকাতভিত্তিক সমাজে কারো পক্ষে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার কোন সুযোগ নেই। আবার কারো পক্ষে গরীব থাকার সম্ভাবনাও নেই। ইসলাম একটি পরিপূর্ণ ভারসাম্যপূর্ণ জীবন বিধান। আর ইসলামের অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংগ হলো যাকাত।
Total Reply(0)
নজরুল ইসলাম ৩১ মে, ২০১৯, ২:০১ এএম says : 0
আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রের ভাষায় যাকাতকে আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা বিধান বলা যায়। বলতে দ্বিধা নেই, যখন পাশ্চাত্যে বিশ্ব শতকের মাঝামাঝি সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়, তখন সাত শতকে ইসলাম সামাজিক নিরাপত্তা বিধান তথা সমাজকল্যাণ নীতির ফলপ্রসু প্রয়োগ করে যথার্থ কল্যাণ রাষ্ট্রের মডেল বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়েছে, যখন এ পৃথিবীতে সামাজিক নিরাপত্তা পরিকল্পনার নাম নিশানাও ছিল না।
Total Reply(0)
নাজির আহমদ ৩১ মে, ২০১৯, ৯:৩১ এএম says : 0
আমাদের মধ্যে যারা বিত্তবান তাদের উচিত নিজ উদ্যোগেই যাকাত দিয়ে দেয়া। সমাজ থেকে সুদ দূর করে সেখানে যদি যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি চালু করা যায় তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করে একটি সুখী সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব
Total Reply(0)
Mohammed Ismail ৩১ মে, ২০১৯, ৯:৩২ এএম says : 0
সাহাবায়ে কেরামগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যাকাত আদায় করতেন। তাদেরকে যাকাত প্রদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হতো না। কারণ, তারা এর গুরুত্ব যথাযথভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তাই সে সময় একটি শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাই শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে যাকাতভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কোনই বিকল্প নেই।
Total Reply(0)
Nazrul Islam Chowdhury ৩১ মে, ২০১৯, ৯:৩৩ এএম says : 0
যাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকার পরেও যদি কোন ব্যক্তি সঠিক পদ্ধতিতে যাকাত আদায় না করেন তাহলে এই সম্পদই কেয়ামতের দিনে তার জন্য সাপ হয়ে তাকে দংশন করবে। খলিফা আবু বকর (রা) যাকাত অস্বীকারকারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে বুঝিয়েছেন যাকাত কত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আমাদেরকে নিজেদের সম্পদের পবিত্রতার জন্যই নিজ উদ্যোগে যাকাত আদায় করতে হবে।
Total Reply(0)
মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া ৩১ মে, ২০১৯, ৯:৩৪ এএম says : 0
আমাদের দেশে যাকাতভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত না থাকার কারণেই এত অশান্তি। এ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাদের দায়িত্ব তারাই আজ আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।
Total Reply(0)
Naim Uddin ৩১ মে, ২০১৯, ৩:৩৩ পিএম says : 0
এই ধরনের লেখা পড়ার জন্যই আমি নিয়মিত দৈনিক ইনকিলাব পড়ে থাকি
Total Reply(0)
Mijanur Rahman Joni ৩১ মে, ২০১৯, ৩:৩৫ পিএম says : 0
অসাধারণ এই মন্তব্য প্রতিবেদনটির জন্য লেখক উবায়দুর রহমান খান নদভী হুজুরকে অসংখ্য মোবারকবাদ জানাই।
Total Reply(0)
সোয়েব আহমেদ ৩১ মে, ২০১৯, ৪:৫৮ পিএম says : 0
জাকাতকে এত সুন্দর ভাবে উৎসাহিত করে লেখা প্রকাশ করায় প্রিয় পত্রিকা ইনকিলাবের সমৃদ্ধি কামনা করছি। আল্লাহ তায়ালা ইসলামের জন্য পত্রিকাটিকে কবুল করে নেন এবং দেশে ইসলামপন্থিদের কণ্ঠ তুলে ধরতে পারে সেই দোয়া করছি।
Total Reply(0)
মামুন ৩১ মে, ২০১৯, ৪:৫৮ পিএম says : 0
জাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা চালু করা হোক।
Total Reply(0)
আলাউদ্দীন ৩১ মে, ২০১৯, ৭:৩০ পিএম says : 0
শুকরিয়া। যাকাত দানের ফলে যাকাত দাতার সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সম্পদের ওপর থেকে বালা মুসিবত দূর হয়। আর এটা এখন আমার কাছে দিনের মতো স্পষ্ট।
Total Reply(0)
আবদুর রহমান ৩১ মে, ২০১৯, ৭:৩১ পিএম says : 0
এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, যাকাত দানের মাধ্যমে সম্পত্তি হ্রাস পায় না। বরং আল্লাহ যাকাত দাতার প্রতি খুশি থাকেন। যাকাত দানের ফলে আল্লাহ খুশি হয়ে যাকাত দাতার সম্পদের পরিমাণ বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেন। এছাড়া যাকাতের মাধ্যমে সামাজিক ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়। সুবহানাল্লাহ
Total Reply(0)
মোঃ নাজমুল ইসলাম ৩১ মে, ২০১৯, ৭:৩২ পিএম says : 0
ইসলামই একমাত্র ধর্ম যেখানে জাকাতের মতো সুন্দর একটি বিধান রয়েছে। যাকাত দানের মাধ্যমে এক মুসলমানের প্রতি অন্য মুসলমানের হক আদায় হয়ে যায়। জাকাতের মাধ্যমে ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর হয়।
Total Reply(0)
মিরাজ আলী ৩১ মে, ২০১৯, ৭:৩৩ পিএম says : 0
সম্পদ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নেয়ামত স্বরূপ। আল্লাহ যাদের সম্পদ দান করেছেন তাদের সম্পদের মধ্যে গরিব দুঃখী মানুষের হক রয়েছে। যে হক আদায় করা জরুরি।
Total Reply(0)
হৃদয় ৩১ মে, ২০১৯, ৭:৩৪ পিএম says : 0
হজরত রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে তার সম্পদের ওপর যাকাত দিল, সে যেন তার সব পাপ ধুয়ে ফেলল'। সুতরাং যাকাত আদায়ের বিষয়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নামাজ ও যাকাত একটি অপরটির পরিপূরক।
Total Reply(0)
তানিম আশরাফ ৩১ মে, ২০১৯, ৭:৩৪ পিএম says : 0
হজরত আবু বকরের খেলাফতের সময়কালে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমি অবশ্যই সেসব লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব, যারা নামাজ ও জাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে। আল্লাহর কসম, তারা যদি একটি উটের রশিও দিতে অস্বীকার করে, যা হজরত রাসূল (সা.)-এর জfমানায় তারা দিত।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম ৩১ মে, ২০১৯, ১১:৩৬ পিএম says : 0
জাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা চাই।
Total Reply(0)
মনিরুল ইসলাম ৩১ মে, ২০১৯, ১১:৩৭ পিএম says : 0
আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি জাকাত দিলে সম্পদ বাড়ে। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে জাকাত দেওয়ার তৌফিক দান করুন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন