কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন; যাদের মাদককারবারি বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন টেকনাফের শীলবনিয়াপাড়া এলাকার ডা. হানিফের ছেলে সাইফুল।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরসংলগ্ন এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে সাইফুল নিহত হয়েছেন।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৯টি এলজি, এক লাখ ইয়াবা ও ৪২ রাউন্ড কার্তুজ, ৩৩ রাউন্ড খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ১নং ইয়াবাকারবারি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সব তালিকায় নাম থাকা সাইফুলকে আগেই আটক করা হয়েছিল।
পরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্থলবন্দরের দক্ষিণ পাশে ইয়াবার চালান উদ্ধারে অভিযানে যায় পুলিশের একটি দল।
এ সময় পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে ইয়াবাকারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি করে। পরে গোলাগুলি থামলে ঘটনাস্থলে সাইফুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাকে টেকনাফ সদর হাসপাতাল হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও টেকনাফ থানায় মাদকসহ সাতটি মামলা রয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এসআই রাসেল আহমেদ, কনস্টেবল ইমাম হোসেন, মো. সোলেমান আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
অন্যদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার গফুরের চিংড়ি প্রজেক্ট এলাকায় বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরেক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
বিজিবি ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সাল হাসান খান জানান, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান প্রবেশের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ বিওপির একটি দল অভিযান চালায়।
এ সময় পাচারকারীরা বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করলে এক পাচারকারী নিহত হন। তবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনাস্থল হতে ১ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা ও একটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন