দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক ঋন উত্তোলন ও আত্মসাতের পৃথক দুই মামলায় বরিশালের সালমা শিপিং লাইন্সের মালিকসহ সাবেক কাউন্সিলর ও ঠিকাদার খালাশ পেলেও ঢাকা ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে ১৪ বছর করে কারাদন্ড ও ২ কোটি টাকা করে জরিমানা প্রদান করেছে বরিশালের বিভাগীয় বিশেষ ট্রাইবুনাল। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. মহসিনুল হক ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক কেএইচএন আসাদুজ্জামান ও সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবীরকে দোষি সাব্যস্ত করে এ রায় প্রদান করেছেন। দন্ডিত দুই ব্যাংক কর্মকর্তাই দীর্ঘদিন যাবত পলাতক রয়েছে। মামলায় খালাস প্রাপ্তরা হচ্ছে- ঢাকা-বরিশাল রুটের কীর্তণখোলা লঞ্চের মালিক মনজুরুল আহসান ফেরদৌস, নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড-এর সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেন জেলাল এবং ঠিকাদার আলতাফ হোসেন তালুকদার ওরফে হাজী আলতাফ।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার, জাল গ্যারান্টি পত্র, জাল এ্যাসেসমেন্ট ব্যবহার করে ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখা থেকে ঋন উত্তোলন করা হয়। দন্ডিত দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ২০১০ সালের ১৬ মে থেকে ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল শাখায় দায়িত্বপালনকালে এ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। পরে আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়লে ব্যাংকের তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট আ. মালেক হাওলাদার বাদী হয়ে মহানগরীর কোতয়ালী মডেল থানায় ২০১৩ সালের ৬ আগষ্ট পৃথক দুইটি মামলা করেন।
মামলার দুইটির একটিতে ৫২ লাখ ও অপরটিতে ২ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। বরিশাল দূর্ণীতি দমন কমিশনের উপÑপরিচালক এবিএম আব্দুস সবুর মামলাটি তদন্ত করে ঢাকা ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ তিন ঠিকদার যোগাসাজস করে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাত করেছে বলে ৫ জনের বিরুদ্ধেপৃথক দুইটি চার্জসীট দাখিল করেন।
বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় ৩৪ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন সহ সব পক্ষেও আইনজীবীদেও সাওয়াল জবাব শেষে দ্ইু ব্যাংক কর্মকর্তাকে দোষি সাব্যস্ত করে দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন