ময়মনসিংহের ফুলপুরে ঘরের দরজা খোলা রেখেই সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে স্কুলছাত্রী শিশু শিল্পি সুকণ্যা (১৩)। এই মৃত্যু নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। মৃত্যুটিকে রহস্যজনক মৃত্যু বলছে স্থানীয়রা। সুকণ্যা ফুলপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ও ফুলপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ রোডের (সাহেব রোড) মারুফ মিয়ার একমাত্র কন্যা। সুকণ্যা এ বছর প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে পাশ করে ফুলপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিল। সদা হাস্য উজ্জ্বল সদালাপী সুকন্যার ছিল অনেক গুনের অধিকারী। শিশু শিল্পি হিসেবে এলাকায় ছিল তার সুপরিচিতি। নামাজ পড়া, কোরান পড়ায় তার ছিল অধীর আগ্রহ, এবারও প্রায় প্রত্যেকটি রোজা রেখেছিল সুকন্যা।
জানা যায়, সুকণ্যার মা ইয়াসমিন ও কাজের মেয়ে শুক্রবার ঈদ মার্কেট করতে বের হয় এবং পিতা মারুফ জুম্মার নামাজ পড়তে যায়। তখন সুকণ্যা বাসায় একা ছিল। তার মা ও বাবা এসে দেখতে পায় সুকণ্যা নিজ বাসার বসত ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আছে। তখন তাকে উদ্ধার করে ফুলপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং শুক্রবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।সুকণ্যার ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে
ঐসময় তার ঘরের দরজা খোলা ছিল ও সুকণ্যার ব্যবহারের মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছেনা। এতে জনমনে এই মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক তোলপার চলছে। এই মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে স্থানীয়দের ধারণা। স্থানীয়দের প্রশ্ন সুকণ্যা কি দরজা খোলা রেখেই ফাঁসিতে ঝুলেছে? সে যদি আত্মহত্যা করবে তাহলে তার মোবাইল ফোন কোথায় গেল? আর অল্প সময়ের মধ্যে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত কেন নিল সুকন্যা? সত্যিই কি এটা আত্মহত্যা না হত্যা এ নিয়ে চলছে সর্বত্রই আলোচনা।
ফুলপুর থানার এসআই মোঃ সুমন মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন