নগরীর বাস-রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের প্রচণ।ঢ চাপ। বাস রেল স্টেশনে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। নগরী ফাঁকা করে হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ঘরমুখো মানুষের কোলাহলে রেল ও বাসস্টেশন এখন সরগরম। প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে কয়েকদিন আগে দিন-রাত লাইনে দাঁড়িয়ে রেলের টিকিট সংগ্রহ করেছেন অনেক যাত্রী।
এখন নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে টিকিট নিয়ে ছুটছেন স্টেশনে। নাড়ির টানে প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নতুন পোশাক ব্যাগবন্দি করে, চোখভরা আনন্দ নিয়ে নগর ছাড়তে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। যারা টিকিট পাননি তারা স্ট্যান্ডবাই টিকিটে দাঁড়িয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন। বিশেষ করে দূর-দূরান্তের চাকরিজীবীরা ঈদের লম্বা ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের বাড়ি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, গতকালের চেয়ে আজ আরও ভিড় বাড়বে। সিট না পেয়ে অনেকে স্ট্যান্ডবাই টিকিটে বাড়িতে যাচ্ছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ পুঁজি করে বাস-কোচে গলাকাটা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কিছু অসাধু পরিবহন মালিক মনে করছেন, এখন তাদের বাড়তি আয়ের একটি মোক্ষম সময়।
এদিকে ফেসবুকে বাড়তি বাসভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেয়ে নগরীর একে খান এলাকার কয়েকটি বাস কাউন্টারে অভিযান চালিয়েছেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক। এ সময় বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাহী, জোনাকী এবং মামুন পরিবহনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক জানান, মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘœ করতে নগরীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারে অভিযানের পাশাপাশি বাড়তি ভাড়া আদায়ের সব তথ্য বিআরটিএ চট্টগ্রামের ফেসবুক পেজে জানাতে অনুরোধের পর দু’জন যাত্রী ফেসবুকে আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, একে খান এলাকায় তাদের কাছ থেকে বাড়তি বাসভাড়া নেয়া হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে একে খান এলাকার শাহী ও জোনাকী পরিবহনের বাস কাউন্টারে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত বাসকে জরিমানা করা হয়। তিনি জানান, ঈদযাত্রা কেন্দ্র করে পরিবহন নৈরাজ্য ঠেকাতে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে নগরীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন