শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চট্টগ্রামে জঙ্গল ও সড়কে দুই শিশুর লাশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও পটিয়া থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চন্দনাইশে অপহরণের পর ১০ বছর বয়সী শিশু রিয়াজকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ পাহাড়ে গুম করা হয়।

গত শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার এক আসামির দেখানো মতে, উপজেলার ধোপাছড়ির গভীর জঙ্গল থেকে গলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার রহিম উল্লাহ (৩০) রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিশুটিকে অপহরণের পর মোবাইলে মুক্তিপণের টাকা দাবি করা হয়। ওই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শুক্রবার কক্সবাজার জেলার রামু থেকে রহিম উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। নির্মম খুনের শিকার মো. রিয়াজ (১০) চন্দনাইশ উপজেলার পশ্চিম ধোপাছড়ি গ্রামের মো. জাকারিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্র বলে পুলিশ জানিয়েছে।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেশব কুমার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ২৮ মে থেকে রিয়াজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন তার বাবা থানায় এসে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওইদিনই তার বাবার মোবাইলে একজন ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ওই ফোনকলের সূত্র ধরে রহিমকে গ্রেফতার করা হয়। রহিম স্বীকার করে, মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়। গতকাল রহিমকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা যুবক রহিম তার পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। তাদের এক আত্মীয় এর আগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে ধোপাছড়ি এলাকায় বসতি গড়ে তোলে। রহিম ও তার পরিবার কক্সবাজারে ক্যাম্পে না থেকে গোপনে ধোপাছড়ি এলাকায় এসে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া থেকে লাগেজের ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো শিশুর লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পরও তার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। পটিয়া থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, শিশুটিকে হত্যার পর লাশ পলিথিনে মুড়িয়ে লাগেজে ঢোকানো হয়। তবে লাশের সাথে পরিচয় শনাক্ত করার মতো কিছুই পাওয়া যায়নি। শনিবার উপজেলার শান্তিরহাট এলাকায় লাশসহ লাগেজ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

ওসি জানান, শিশুটির বয়স আনুমানিক ১১ থেকে ১২ বছরের মধ্যে হবে। লাশে পচন ধরেছে। ধারণা করছি, কয়েকদিন আগে তাকে মেরে লাগেজে ভরে এখানে ফেলা যাওয়া হয়েছে। একটি বাস থেকে লাশসহ লাগেজটি ফেলা হয়েছে বলেও জানতে পেরেছি। লাশে ময়নাতদন্ত হয়েছে তবে এখনও প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন