ময়মনসিংহের ফুলপুরে পুকুর পাড়ে গরু উঠাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১ টায় শফিকুল ইসলাম (৪০) নামে এক শ্রমিককে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। নিহত শফিকুল উপজেলার পারতলা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ মহিলাকে আটক করেছে।
এলাকাবাসি ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, ফুলপুর উপজেলার পারতলা গ্রামে মঙ্গলবার বেলা ১টারদিকে শফিকুল ইসলামের বড় ভাই রফিক উদ্দিনের গরু পাশের বাড়ির আব্দুল কাদিরের পুকুর পাড়ে উঠলে গরুটিকে মারধর করে। গরুকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ করায় আব্দুল কাদির গং প্রতিপক্ষকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। সেই সাথে আব্দুল কাদির, পারুল, মামুন, কাশেম,মিজান, হাসিম, সুমন, আল-আমিনসহ কয়েকজন কুচ, সুলফী, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষ শফিকুল গংদের উপর আক্রমণ করে। এসময় শফিকুল ইসলাম কিছু না বুঝে এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষ আব্দুল কাদির গং তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে ও কুচ, সুলফি দিয়ে কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে। শফিকুল ঢাকায় এক রড কোম্পানিতে চাকুরী করিত। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে এসে নির্মমভাবে খুন হন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পারুলসহ ৪ মহিলাকে আটক করেছে ফুলপুর থানা পুলিশ।
নিহতের পিতা হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমার ছেলেডা বাড়িতে আইসাও সারতে পারেনাই। আসার কিছু পরেই তারে নিষ্ঠুরভাবে খুন করেছে।
নিহতের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে তামান্না আক্তার কেঁদে কেঁদে বলেন, গরু ছিল আমাদের পুকুর পাড়ে, অথচ তারা কইছে তাদের পুকুর পাড়ে।এনিয়ে ঝেডিরে খারাপ ভাষায় গালি দেয় এবং মারতে আসে। পরে আব্বা আগাইয়া গেলে একপর্যায়ে আব্বাকে কুচ, সুলফি ও লাঠি দিয়ে অাঘাত করে কাদির ও তার লোকজন। এতে ওখানেই আব্বার মৃত্যু হয়। আমি আমার আব্বার হত্যাকারিদের ফাঁসি চাই।
ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদি হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন