ঈদ যাত্রার শেষ দিনে আজ সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে ভয়াবহ দুর্ভোগের শিকার হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে যানজট। তাতে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। তবু ওই যে নাড়ির টান! সেই টান তাদেরকে প্রত্যাশায় ধরে রেখেছে কখন দেখা পাবেন প্রিয়জনের মুখ। তার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। এই হাসির জন্য, সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগির জন্য, অধীর আগ্রহে অপেক্ষার পথযাত্রা তাদের। কিন্তু সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু সেতুতে অত্যাধিক গাড়ির চাপে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে সেতুর পূর্বপ্রান্তে সড়ক বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
ফলে এই যানজট সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তায় যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছে তাতে হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন। বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব প্রান্ত)-এর কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, যানবাহনের প্রচ- চাপে সকাল ৬টা ৩০মিনিট থেকে ৯টা ১৫মিনিট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যান চলাচল ধীর গতির ছিল।
টাঙ্গাইলের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাজেদুল ইসলাম মিডিয়াকে বলেছেন, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে যান চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এতে মহাসড়কে যান চলাচল অত্যন্ত ধীর গতিতে শুরু হয়।
এদিকে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিক্রমহাটি এলাকায় যানজটের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন থেকে যাত্রীরা নেমে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
এ অবস্থায় ডিসি ও ম্যাজিস্ট্রেট তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা ডিসির গাড়ি ভাঙচুর ও ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার বিক্রমহাটিতে এ আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
সাধারণ যাত্রীরা জানান, ঢাকাগামী যানবাহন ধীরগতিতে চললেও উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন একেবারেই বন্ধ রয়েছে। এতে করে নারী ও শিশুসহ তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মহাসড়কের প্রায় পুরো এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিক্রমহাটি এলাকায় সাধারণ যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে মহাসড়কের উত্তরবঙ্গগামী লেনে টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
টাঙ্গাইল পুলিশ কন্ট্রোল রুমের এক কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের যানজট থাকায় এ পাশ থেকে গাড়ি ছাড়তে না পারায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পারে টোল আদায় বন্ধ থাকে। সে কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওই এলাকায় টায়ারে আগুন দেয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেট রোকনুজ্জামানের গাড়িতে আগুন ধড়িয়ে দেয়। এ অবস্থা দেখে জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে উত্তেজিত যাত্রীরা তার গাড়িটিও ভাঙচুর করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন