বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বৃটেনের প্রভাবশালী সাময়িকীতে শ্রীমঙ্গলের বিলাশবহুল প্রকৃতি নির্ভর ইকো রিসোর্ট ‘শান্তিবাড়ি’

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৯, ৮:১২ পিএম

একঘেয়ে জীবনধারায় হাঁপিয়ে উঠা মানুষের জন্য ঘুরে বেড়ানো একটি নেশা। সামর্থ বিবেচনায় নেই নেশাকে মেঠাতে সক্ষম হয় তারা। তবে রুচি ও মানসিকতার বিচারে উপভোগ করে থাকেন প্রকৃতির বিভিন্নতাকে। প্রকৃতির মিশেলে ইট-সুরকি ঘেরা নান্দনিক বিনোদন কেন্দ্রগুলোর আধিপত্য নিরংকুশ। ব্যতিক্রম চেহারা ও বাস্তবতায় গড়ে উঠেছে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে শান্তিবাড়ি ইকো রিসোর্ট। যন্ত্র দানবের শব্দহীন জোনাকি পোকার জি-জি শব্দে রাতের নিস্তব্ধতাকে মাতিয়ে তোলার অনন্য এক বৈশিষ্ট্য হলো শান্তির বাড়ি। মুলত প্রকৃতির চিরন্তর রূপকে উপভোগের সুযোগ করে দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এই ইকো রিসোর্টটি গড়ে তোলেন ট্যুরিজম বিশেষজ্ঞ তানভীরুল আরেফিন লিংকন। লিংকনের সেই শান্তি বাড়িটি নিয়ে বৃটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট’র চলতি সংখ্যায় (৬ই মে, ২০১৯) ব্যতিক্রমী পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে শ্রীমঙ্গলের শান্তি বাড়ি ইকো রিসোর্ট’র ওপর একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। বিষয়টি আলোড়িত হয়েছে সর্বত্র। রিপোর্টে বাঁশ দিয়ে তৈরি এবং টিভি-এসির মতো আধুনিক উপকরণ না থাকা সত্ত্বেও এই পর্যটন কেন্দ্রটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়েছে বলে রিপোর্টে প্রশংসা করা হয়। বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল চায়ের জন্য রয়েছে দেশ জুড়ে খ্যতি। সেই শ্রীমঙ্গল প্রকৃতির অনন্য এক নয়াভিরামের আধারও বটে। লাউয়াছড়া ইকো পার্কের অবস্থান শ্রীমঙ্গলেই। ট্যুরিজমের সাথে সম্পৃক্ততার সুবাধে প্রায় লাউয়াছড়ায় আসতেন লিংকন। এরপর মাথায় আসে তার ইর্কো নির্ভর কিছু একটা করার। তারপর নেমে পড়েন শান্তি বাড়ি প্রকল্প বাস্তবায়নে। প্রায় ৫ (পাঁচ) একর ভূমি স্থানীয় একাধিক মালিকদের নিকট থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বন্দোবস্ত নেন তিনি। এই ইকো পার্কে কৃষি ্ও কৃষকের পরিবেশ বহাল রাখা হয়েছে সযতনে। পরিবেশ-প্রতিবেশের সবই অবকাঠামো একান্ত পরিবেশ ঘেরা। শান্তি বাড়ি গড়ে তোলার পর সেখানে প্রধানত বিদেশি পর্যটকরাই ভিড় করতেন। স্থানীয় লোকেরা হাসাহাসি করতেন। কারণ কত বেশি সুবিধাসম্পন্ন হোটেল-মোটেলের পাশে এত কম আধুনিক সুবিধার রিসোর্ট করে লাভ কী। এতে কারা থাকতে আসবেন ? অতিথিরা এসে প্রশ্ন করবেন, টিভি কোথায় ? এসি কোথায় ? কিসের জন্য টাকা দেব আমরা ? শান্তিবাড়ির ফাউন্ডার লিংকনের সরাসরি জবাব ছিল, আপনি একটি বিলাসবহুল পরিবেশের জন্য অর্থ প্রদান করছেন, বিলাসবহুল রুমের জন্য নয়।’ সেটা ছিল পাঁচ বছর আগের কথা। এখন তার বেশিরভাগ অতিথি বাংলাদেশি। শান্তিরবাড়ি দেখিয়েছে, পরিবেশ ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটনেও বাংলাদেশিদের আগ্রহ বাড়ছে। প্রথমেই আসে স্থানীয়দের পর্যটনের ভাবনা। তারপর বিদেশিদের প্রশ্ন। অথবা বলা চলে তেমনটিই সরকার আশা করে। তবে কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি বিশেষ অঞ্চল স্থাপন করছে। ইকোনমিস্টের রিপোর্ট ছাপা হওয়া নিয়ে তানভীর আরেফিন লিংকন বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে। এটা একটা স্বীকৃতি। তিনি আরো বলেন, ফাউন্ডার, মুলত বিজনেস টার্গেট করে শান্তি বাড়ি গড়ে তোলেননি তিনি। জীব-জন্তুর সুরক্ষার পাশাপাশি প্রকৃতির নির্ঘাত বাস্তবতায় একগুয়েমী জীবনের ক্লান্তভাব দূরীকরনের একটি প্রয়াসে এই ইকো রিসোর্ট। বিদেশীর খুবই উপভোগ করে, এখন দেশী লোকজনও আগ্রহী হয়ে উঠছে। যেকারনে নিরবিচ্ছিন্ন উপভোগস্থলে পরিণত হয়েছে এখন শান্তি বাড়ির পরিবেশ। কাঠের বাড়ি, পুকুর, চাহিদা মাত্র সাধারন নির্ভেজাল খাবার, পাহাড়-টিলার ছন্দ সব আয়োজনই রয়েছে শান্তি বাড়িতে। ক্যামরো ক্লিক করলেই ধরা দেয় পেছনের লুকিয়ে থাকা প্রকৃতির অনবদ্য সৌন্দর্য্য ।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
nadim mahabub ১১ জুন, ২০১৯, ২:০৮ এএম says : 0
aponjon valo kisu korle gorbo hoy. go ahead linkon vai
Total Reply(0)
nadim mahabub ১১ জুন, ২০১৯, ২:০৮ এএম says : 0
aponjon valo kisu korle gorbo hoy. go ahead linkon vai
Total Reply(0)
Sajia Afroz ৯ জুন, ২০২০, ৮:৩০ পিএম says : 0
Heaven of beauty with desired silence.......
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন