শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মৃত্যুর আশঙ্কা ৯ শতাধিক শরণার্থীর

ভূমধ্যসাগরে এক সপ্তাহে তিন দফা নৌকাডুবির ঘটনায় ১৪ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৩৭ পিএম, ৩০ মে, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : ভূমধ্যসাগর থেকে ছয় শতাধিক শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় রেগিও কালাবরিয়া বন্দরে ভিড়েছে দেশটির নৌবাহিনীর জাহাজ ভেগা। ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে গত এক সপ্তাহে তিনটি নৌকাডুবির ঘটনায় ৯শ’র বেশি শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত রোববার জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও চিকিৎসা-বিষয়ক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংগঠন মেদসঁ সঁ ফ্রতিয়েখ (এমএসএফ) এ তথ্য দিয়েছে। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজনের বিবরণের ভিত্তিতে এ হিসাব দেওয়া হয়েছে। শীত কমে গিয়ে সাগরে অনুকূল আবহাওয়া শুরু হওয়ায় অনুপযোগী নৌকায় করে আফ্রিকা থেকে শরণার্থীদের ইতালিতে পাড়ি জমানোর চেষ্টা আবারও বেড়েছে। ইইউ-তুর্কি চুক্তির ফলে গ্রিসে নৌকা ভেড়া কমায় এখন এটিই শরণার্থীদের প্রধান রুট। গত সোমবার থেকে গতকাল পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর থেকে প্রায় ১৪ হাজার শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌকাডুবির পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া শরণার্থীরা শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেন ও ইউএনএইচসিআরকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে তৃতীয় নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের ভাষ্যমতে, ৪০টি শিশুসহ প্রায় ৫০০ জন এ দুর্ঘটনায় ডুবে মারা যায়। ইউএনএইচসিআর আরও বলছে, এক সপ্তাহে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে ৭০০ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত বুধবার এক নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হওয়া ১০০ জন ও শুক্রবার ডুবন্ত নৌকা থেকে উদ্ধার হওয়া ৪৫টি লাশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এক টুইটার বার্তায় দাতব্য সংগঠন এমএসএফ বলেছে, নিহত ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা আমরা কখনই জানতে পারব না। সংগঠনটি উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার ভিত্তিতে হিসাব করে বলেছে, এ সপ্তাহে ৯০০ অভিবাসনপ্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
ভূমধ্যসাগরের সবচেয়ে বড় দ্বীপ ও ইতালির স্বশাসিত অঞ্চল সিসিলিতে নিয়োজিত সেভ দ্য চিলড্রেনের মুখপাত্র জিওভান্না দ্য বেনেদেত্তো বলেন, গত বৃহস্পতিবারের নৌকাডুবিতে প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকেরা বলেছে, বুধবার লিবিয়া থেকে দুটি মাছ ধরার নৌকা ও একটি ডিঙিতে করে প্রায় ১ হাজার ১০০ মানুষ রওনা দিয়েছিল। একেকটি মাছ ধরার নৌকায় ৫০০-এর মতো লোক ছিল।
ইতালির গণমাধ্যম জানায়, নৌকার প্রধান মাঝি সুদানের নাগরিক। আরও তিন সন্দেহভাজন মানব পাচারকারীর সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক শরণার্থী বলেন, ওসামা নামে নতুন একজন মানব পাচারকারী লিবিয়া উপকূল থেকে অবৈধ নৌযান ছাড়ার নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি নতুন খদ্দেরদের প্রলুব্ধ করতে মাত্র ৪০০ ইউরোতে সাগর পার করার প্রস্তাব দেন। আলজাজিরা, বিবিসি ও রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন