শেরপুরের নকলা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রকোনায় রয়েছে উপজেলার একমাত্র শতবর্ষী উচ্চ বিদ্যালয়, একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, একটি মহাবিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কয়েকটি উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা, সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি পোস্ট অফিসের শাখা। দুঃখজনক হলেও সত্য, বাস্তবে কোনো পোস্ট কার্যক্রম ও অফিস কিছুই নেই। ফলে জনগণকে চিঠি আদান-প্রদান ও রানারকে চিঠি বিলি করতে শুরু থেকেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চাকরিতে ইন্টারভিউর কার্ড সময়মতো না পেয়ে আজ বেকারত্বকে সাথি করে নিতে হয়েছে অনেককেই। যদিও গুরুত্বপূর্ণ চিঠিগুলো আদান-প্রদানের জন্য প্রত্যন্ত গ্রামের বাড়ির বসতঘরের একটি কক্ষকে আপাতত ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে চিঠি প্রেরণের জন্য গিয়ে প্রায় সময় তালা ঝুলতে দেখা যায়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি, মানি অর্ডার, পার্সেল সার্ভিস, খাম (ইনভেলাপ), ডাকটিকিট, পোস্টাল অর্ডার, পোস্টকার্ট ইত্যাদি কেউ ব্যবহার করতে পারছেন না। ফলে তিন টাকার চিঠি প্রেরণ করতে চন্দ্রকোনার জনগণকে ন্যূনতম ৫০ টাকা যাতায়াত ভাড়া খরচ করে উপজেলা শহরে যেতে হয়। এমতাবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রকোনায় একটি পোস্ট অফিস স্থাপন জরুরি বলে মনে করছেন সর্বসাধারণ। তাই কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মো. মোশারফ হোসেন
শিক্ষক ও সাংবাদিক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন