বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সৌর মিথানল দ্বীপ মেটাবে জ্বালানি সমস্যা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৯, ১২:৪২ পিএম

পৃথিবীতে যে পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি সঞ্চিত রয়েছে, তা দিয়ে সর্বোচ্চ আরো ১০০ বছর চলবে। এই জীবাশ্ম জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে মানুষকে নির্ভর করতে হবে প্রকৃতির ওপর। সবুজ জ্বালানি অর্থাৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানিই হবে আগামীদিনের ভরসা। মানুষকে পানি, বায়ু আর সূর্য থেকে শক্তি সঞ্চয় করে চলতে হবে। সেই প্রক্রিয়ায় একধাপ এগিয়ে গেছেন নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। এই বিজ্ঞানীরা জ্বালানি সমস্যা মেটাতে সৌর মিথানল দ্বীপ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন।

সৌর মিথানল দ্বীপ পরিকল্পনায় পরিবেশ থেকে অতিরিক্ত কার্বন-ডাই অক্সাইড নিয়ে সমুদ্রের পানির মাধ্যমে সবুজ মিথানল উৎপাদন করবে। আর সেই সবুজ মিথানলই ব্যবহূত হবে জ্বালানি হিসেবে। বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ছোট দ্বীপের সমান আয়তনের এক একটি ১০০ মিটারের ব্যাসার্ধের ৭০টি প্যানেল নিয়ে একটি সৌর মিথানল দ্বীপ গড়ে তোলা হবে সমুদ্রের উপর। সূর্যের আলো-কে কাজে লাগিয়ে বিশেষ কিছু প্রক্রিয়ায় সৌর প্যানেলগুলো উৎপাদন করবে এই জ্বালানি। বিজ্ঞানীদের মতে, এই জ্বালানি উৎপাদনে যে পরিমাণ জায়গা, সৌরশক্তি ও পানির প্রয়োজন তা একমাত্র সামুদ্রিক অঞ্চলেই পাওয়া সম্ভব। সেই কারণে তারা ইন্দোনেশিয়া, উত্তর অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলের সামুদ্রিক অঞ্চলগুলো বেছে নিয়েছেন। প্যানেলগুলো একটা মেমব্রেনের উপর সূর্যের দিকে মুখ করে বসানো হবে, যা এই প্যানেলগুলোতে ২৪ মেগাওয়াটের শক্তি দেবে।
সমুদ্রের পানিতে লবণ থাকায় প্রথমে সেই পানি লবণমুক্ত করা হবে। লবণমুক্ত করার পর হাইড্রোলিসিসের মাধ্যমে সেই পানির হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনকে আলাদা করা হবে। এই প্রক্রিয়াটির জন্য একটি বিশেষ ট্যাঙ্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ট্যাঙ্কটির সঙ্গে একটি আন্ডারওয়াটার পাইপলাইন যুক্ত করা থাকবে যা বাষ্প সঞ্চালনের জন্য ব্যবহার করা হবে। আন্ডারওয়াটার পাইপলাইনটি তীরের স্টিম টারবাইনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, যেটি ১ গিগাওয়াটের শক্তি উৎপাদনে সক্ষম হবে এবং গ্রিন মিথানল ও কার্বন-ডাই অক্সাইড উৎপাদনে সাহায্য করবে। এছাড়াও এই সৌর মিথানল প্যানেলের একটি সংস্করণ মাটিতে করার পরিকল্পনাও রয়েছেন বিজ্ঞানীদের। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, লাখ লাখ সামুদ্রিক ভাসমান সৌর মিথানল দ্বীপ সূর্যালোকের দ্বারা চালিত হয়ে কার্বন-ডাই অক্সাইড ও গ্রিন মিথানল বা জ্বালানি উৎপাদন করবে, যা ট্রেন, প্লেন ও জাহাজ চালাতে সাহায্য করবে।
তবে আগামীদিনে এই পরিকল্পনা কতটা কার্যকর হবে তা শুধু সরঞ্জামের দামের উপর নয়, কতটা পরিমাণ শক্তি যানবাহনে যাবে তার উপর নির্ভর করছে। কিন্তু সামুদ্রিক অঞ্চলে এই জ্বালানি উৎপাদনের উপকরণগুলো পরিষ্কার এবং মেনটেন করাটাও একটা ভাবনার বিষয় গবেষকদের কাছে। সূত্র : আনন্দবাজার।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন