শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সুগন্ধার ভাঙন থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু রক্ষায় ২৩৫কোটি টাকার প্রকল্প প্রি-একনেক’এর নীতিগত অনুমোদন

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৯, ৬:৫৩ পিএম | আপডেট : ৭:৩৯ পিএম, ১০ জুন, ২০১৯

দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ রক্ষাকারী বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের দোয়ারিকাতে সুগন্ধা নদীর ভাঙন থেকে সংযোগ সড়ক সহ ‘বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু রক্ষায় কারিগরি কমিটির প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনের প্রি-একনেক’র সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন লাভ করেছে। সোমবার দুপুরে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সভায় কিছু পর্যবেক্ষন সহ প্রায় ২৩৫কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষ এ ভাঙন রোধ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় পরিকল্পনা কমিশন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সড়ক অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। খুব শিঘ্রই এসংক্রান্ত সংশোধীত ‘ উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা-ডিপিপি’ একনেক-এর চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেস করা হবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সড়ক অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক অধিদপ্তর এবং নদী শাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইডব্লিউএম’এর সমীক্ষা অনুযায়ী মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু’টি সুগন্ধা নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষায় ৩ হাজার ৭৬৫ মিটার নদী তীর রক্ষা সহ সোয়া ৬শ মিটার দীর্ঘ একটি চর-এর ৮ লাখ ঘন মিটার পলি অপসারন করতে হবে। পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্তনুযায়ী সড়ক অধিদপ্তরের এ সেতু ও সংযোগ সড়কটি রক্ষায় ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পটি ‘ডিপোজিট ওয়ার্ক’ হিসবে বাস্তবায়ন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
‘ইনল্যান্ড ওয়াটার ম্যানজমেন্ট-আইডব্লিউএম’ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পর্যবেক্ষন ও সমিক্ষা অনুযায়ী দোয়ারিকাতে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুটির বরিশালে প্রান্তে সুগন্ধা নদীর বাম তীর ঘেঁষে উজানে একটি ‘কনকেভ ব্যান্ড’ তৈরী হয়েছে। ফলে নদীর ঐ প্রান্তে স্রোতের চাপ যথেষ্ঠ বেশী। পাশাপাশি নদীর অপর প্রান্তের ডান তীর ঘেঁেষ চর জেগে উঠে ক্রমান্বয়ে তা বাম তীরের দিকে বর্ধিত হচ্ছে। ফলে নদীর ‘কনভেন্স ক্যাপাসিটি’ হ্রাস পেয়ে ভাঙনকে ত্বরান্বিত ও প্রলম্বিত করছে। ভৌগলিক অবস্থানগত কারনে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীসমুহ অত্যন্ত সর্পিলাকার বৈশিষ্টের হওয়ায় নদীর বাকে ভাঙনের পাশাপাশি বিপরীত প্রান্তে চর জেগে ওঠে।
দোয়ারিকার মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতি দৃশ্যমান হওয়ায় ভাঙন প্রতিরোধে নদী তীর রক্ষার পাশাপাশি চর অপসারন-এর ‘সমন্বিত ব্যবস্থা’ গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের আলোকে সেতু এলাকায় নদীর বাম তীরের উজানে ১ হাজার ৮শ মিটার ও ভাটিতে ২শ মিটার এবং ডান তীরের উজানে ৭৬৫ মিটার ও ভাটিতে ১ হাজার মিটার নদী তীর সংরক্ষন করা হবে। এ লক্ষ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিং-এর পরে তার ওপরে সিসি ব্লক সন্নিবেশ করে নদী শাসনের পাশাপাশি সেতুটির উজানে নদীর বাঁকে ৮ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারনের মাধ্যমে গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধ করা হবে।
আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে সুগন্ধা নদীর ভাঙন থেকে মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর সেতু রক্ষা প্রকল্পের ডিপিপি একনেক-এর চুড়ান্ত অনুমোদন লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামী অর্থ বছরে প্রকল্পটি এডিপি ভূক্ত হয়ে নভেম্বরÑডিসেম্বরের মধ্যেই বীরশ্রেষ্ঠ মহউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর ভাঙন প্রতিরোধ কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সড়ক অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল মহল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন