শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই ঘাট ছাড়ছে লঞ্চ

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে ঈদের ৫দিন পরও ধারন ক্ষমতার তিন গুন যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো চাঁদপুর ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে নিজেদের ইচ্ছা মত ওভারলোড করে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করছে। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।

চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে উপচেপড়া ভিড়ে যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিটি লঞ্চ এভাবেই ছেড়ে গেছে। ৮/ ৯শ’ যাত্রীর ধারন ক্ষমতা থাকলেও আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল ত্যাগ করে।
গতকাল সোমবার দুপুরে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের আগে লঞ্চগুলো স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী যাত্রী হলেও ছাড়ছে না। প্রায় আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে এমভি সোনারতরী, এমভি রফ রফ, এমভি ঈগল, এমভি আবে জমজম, এমভি প্রিন্স অব রাসেল, মেঘনা রানী ও বোগদাদিয়া-৭ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট ছেড়েছে।

লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন জানান, চাঁদপুর-ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে ভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ায় যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে এরুটে ২২টি বিলাসবহুল লঞ্চ যাতায়াত করে। চাঁদপুরসহ পাশ^বর্তী নোয়াখালী, ল²ীপুর ও শরীয়তপুর জেলার আংশিক মানুষ এখন এরুটে যাতায়াত করেন। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে এখন কর্মমূখী মানুষগুলো নিজ গন্তব্যে ফেরার জন্য লঞ্চেই যাওয়া শুরু করেছেন।

ল²ীপুর থেকে আসা যাত্রী মোহাম্মদ নিয়াজ জানান, সিডিউল সময়ে ও নিয়মানুযায়ী লঞ্চগুলো আগের তুলনায় অধিক যাত্রী নিয়ে ছাড়ছে। প্রতি ঘন্টায় লঞ্চ রয়েছে। সে কারণে ইচ্ছা করেই ভিড়ের মধ্যে লঞ্চে উঠছি না। ঢাকাগামী আরো কয়েকজন যাত্রী বলেছেন, কর্মস্থলে যাওয়া প্রয়োজন।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, চাঁদপুর ঘাট থেকে কোন লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী না নিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্র্ক। তবে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ বেড়েছে রোববার থেকে। এ ঘাটের যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, স্কাউট সদস্যসহ আমাদের লোকজন সার্বক্ষনিক কাজ করছেন।

লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার জানান, যাত্রীদের না উঠার জন্য নিষেধ করলেও তারা জোরপূর্বক লঞ্চে উঠছে। এই কারণে নির্দিষ্ট যাত্রীর চাইতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীর চাপ থাকায় যাত্রী পারাপারের জন্য ২টি ম্পেশাল লঞ্চ দেওয়া হয়েছে।

ঈগল, ময়ুর, বোগদাদীয়া, ইমাম হাসানসহ কয়েকটি লঞ্চের চাঁদপুর ঘাটের দায়িত্বরত মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার জানান, যাত্রীদের লঞ্চে না উঠার জন্য বারণ করলেও তাদেরকে থামিয়ে রাখা যায় না। তারা জোড় করে লঞ্চে উঠে। ফলে লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট ত্যাগ করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন