পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১২) ইভটিজিং এর শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। গত সোমবার এই ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে ধামাচাপা দিতে গিয়ে বুধবার ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়ে।
ছাত্রীর বাবা ও চাচা জানান, স্কুলের পার্টটাইম শিক্ষক আরিফুল ইসলাম আরিফের পরিচালিত কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার সময়ে একদন্ত হাইস্কুলের সামনের কসমেটিক্সের দোকানদার ও একদন্তের নরজান গ্রামের আব্দুল্লাহ’র পুত্র আকাশ (২২) এক যুবক ঐ ছাত্রীকে জোরপূর্বক একদন্ত কলেজের অদূরে ফাঁকা সড়কে একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে তারা দাবী করেন। এ সময় চিৎকার দিয়ে জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে ঐ ছাত্রী। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। অসুস্থ অবস্থায় ঐ ছাত্রীকে পানি ঢেলে জ্ঞান ফিরিয়ে আনা হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একদন্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আকাশ নামের ছেলেটির বিরুদ্ধে এর আগেও একই ধরণের কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রীর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, তার স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। প্রাক্তন ছাত্র আকাশ মেয়েটির উপর নির্যাতন করেছে বলে তিনি লোকমুখে শুনেছেন। ঘটনাটি সত্য হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন তিনি।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুল ইসলাম বুধবার মোবাইলে ইনকিলাব-এর পাবনাস্থ স্টাফ রিপোর্টারকে বলেন, ছাত্রী ও তাঁর পিতা আজ থানায় এসেছেন। ছাত্রীর ভাষ্য হলো, আকাশ তার হাত ধরেছিল। ওসি এটিকে ইভটিজিং হিসেবে উল্লেখ করেন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন