বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএসইসি’র কাছে ১৪ দফা দাবি বিনিয়োগকারীদের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৯, ৭:১০ পিএম

শেয়ারবাজারের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ১৪ দফা দাবি জানিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। বুধবার (১২ জুন) বাংলাদেশ পুজিঁবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের পক্ষে লিখিতভাবে এই দাবি জানানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সালে যে ধস শুরু হয়েছিল, তা ২০১৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও সিদ্ধান্তহীনতা দায়ী। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা চিঠিতে ১৪ দফা দাবি জানিয়েছে।

এসব দাবির মধ্যে রয়েছে- ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থান করা শেয়ারগুলো নিজ নিজ কোম্পানির পরিচালনা পরিষদের ইস্যু মূল্যে ক্রয় করা; প্লেসমেন্ট শোরের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারের লক ইন পিরিয়ড পাঁচ বছর করা, শেয়ারবাজারের গতিশীলতা বৃদ্ধিতে আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধির জন্য সহজ শর্তে অর্থাৎ ৩ শতাংশ সুদে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। যা আইসিবিসহ বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে ৫ শতাংশ হারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লোন হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা শর্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া, পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫ বাতিল করতে হবে এবং সকল ধরনের আইপিও তিন বছরের জন্য বন্ধ রাখতে হবে। ভবিষ্যতে আইপিওতে কোনো প্রকার প্রিমিয়াম না দেওয়া, জেড ক্যাটাগরি এবং ওটিসি মার্কেট বলতে কোনো মার্কেট থাকতে পারবে না। একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানিকে কমপক্ষে ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা এবং রাইট শেয়ার ও বোনাস শেয়ার দেওয়া বন্ধ করা, বিডিং প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী ইলিজিবল ইনভেস্টরদের সক্ষমতা ও যোগ্যতা যাচাই করা এবং বিডিং প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত শেয়ারের লক ইন পিরিয়ড দুই বছর করা, ২ সিসি আইনের বাস্তবায়ন করতে যে সকল কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যক্তিগতভাবে ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই ওই উদ্যোক্তা পরিচালক ও কোম্পানিগুলোকে বিচারের আওতায় আনা, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আইপিও কোটা ৮০ শতাংশ করা, পুঁজিবাজারের প্রাণ মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে পুঁজিবাজারে সক্রিয় হতে বাধ্য করা এবং প্রত্যেক ফান্ডের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা। একই সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে কমপক্ষে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া, জীবন বীমা খাতের বিপুল অলস ও সঞ্চিত অর্থের ৪০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বাধ্য করা, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোনের সুদ সম্পূর্ণ মওকুফ করা, খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা। এছাড়া জীবন বাঁচাতে এবং ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার মামলা প্রত্যাহার ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন