সাবিনা আক্তার নামে শিবপুরের এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে হত্যা করে ধর্ষণ করেছে সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবক। এমন ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামে। এ ঘটনায় র্যাব ১১’র জওয়ানরা গত মঙ্গলবার সাইফুল ইসলামকে শিবপুর কলেজ গেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত সাইফুল প্রতিবন্ধী সাবিনাকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে মর্মে স্বীকার করেছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছে র্যাব অধিনায়ক কাজী শমসের আহমেদ।
গতকাল বুধবার নরসিংদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে র্যাব’র অধিনায়ক কাজী শমসের আহমেদ জানান, গত ৬ জুন বিকেলে মাছিমপুর গ্রামের সাবিনা আক্তার (২১) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে একই উপজেলার দুলালপুর (খালপাড়) গ্রামের মৃত হানিফ উদ্দিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (২৮) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি সিএনজি যোগে স্থানীয় কাজীরচর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. নাজিম উদ্দিনের কলাবাগানের ভিতর নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে সাবিনা বাধা দিলে সাইফুল তার জামা দিয়ে সাবিনাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরে নরপিশাচ সাইফুল সাবিনার মরা লাশ বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে কলা খেতে ফেলে রেখে চলে যায়। যাবার সময় সাবিনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ভ্যনিটি ব্যাগ নিযে যায়। ঘটনার পর থেকে সাইফুল আত্মগোপন করে থাকে। গত ৮ জুন স্থানীয় লোকজন উল্লেখিত কলা বাগানে লাশ দেখে শিবপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে সাবিনার মাতা আফিয়া আক্তার বাদী হয়ে শিবপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে র্যাব খবর পেয়ে তাদের একটি গোয়েন্দা দল এএসপি মো. আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করে। গত ১১ জুন র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ দল শিবপুর থানার কলেজ গেইট এলাকা থেকে হত্যা ও ধর্ষণকারী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। সাইফুলের দেখানো মতে, তার বাড়ীর বাথরুম থেকে ভিকটিম সাবিনার মোবাইল ফোন ও বাড়ীর পাশের একটি নোংরা নর্দমা থেকে সাবিনার ব্যবহৃত ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন