বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নিহত ২৪৭, আহত ৬৬৪

ঈদযাত্রার ১২ দিন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ঈদুল ফিতরে সড়ক, রেল ও নৌপথে ১২ দিনে ২১২টি দুর্ঘটনায় ২৪৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু সড়কেই মারা গেছেন ২২১ জন জন। এসব সড়কে দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৬৫২ জন । যাদের মধ্যে পঙ্গু হয়েছেন ৩৭৫ জন। গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ আয়োজিত ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০১৯’ প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনা কমাতে ১০টি সুপারিশমালা তুলে ধরে সংগঠনটি।

সংগঠনের সভাপতি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) জি এম কামরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য উপাস্থাপন করেন। বিভিন্ন হাসপাতাল ও গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ১২ দিনের এই চিত্র দেখতে পান বলে তারা উল্লেখ করেন।

কামরুল ইসলাম আরও বলেন, গত ১২ দিনে সড়ক ও মহাসড়কে ১৮৫টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২২১ জনের। এতে আহত হয়েছে আরও ২৪৭ জন। এছাড়া নৌপথে পাঁচটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের ও আহত হয়েছে আরও ১২ জন। একইসময়ে রেলপথে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের।

যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, এসব দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিল ৬৩টি বাস, ৩৮টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ১৯টি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস, ৩০টি নছিমন-করিমন; ভটভটি; ইজিবাইক ও অটোরিকসা, ৬৪টি মোটরসাইকেল ও ২৬টি অন্যান্য যানবাহন। এর মধ্যে ৫১টি গাড়িচাপায়, ৮১টি সংঘর্ষে, ১৯টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ও অন্যান্য কারণে ৩৪টি দুর্ঘটনা ঘটে।

এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তারা বলেন, ঈদকেন্দ্রিক অতিরিক্ত যাত্রী চাপ, চালকদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, অদক্ষ চালকের কাছে দৈনিক চুক্তিতে যানবাহন ভাড়া দেওয়া। এছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়িতে যাত্রী বহন, মহাসড়কে নসিমন-করিমন ও অটোরিকসা চলাচল, ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতাকে সংস্থাটি দায়ী করেন।

সংগঠনের সভাপতি আরও বলেন, আমাদেরকে ঈদে বাড়ি ফেরার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নতুবা ঈদের সময় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গাড়ি ভাড়া করে এনে যাত্রী সেবার ব্যবস্থা করার ওপরে তিনি মতামত দেন।
দুর্ঘটনা কমাতে সংগঠনটির দেওয়া ১০ সুপারিশমালার মধ্যে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ফিটনেস পদ্ধতি ডিজিটাল করা, মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ব্যাটারিচালিত রিকসা-অটোরিকসা বন্ধে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন করা এবং রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করার কথাসহ আরও কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইসমাইল গাজী দেলোয়ার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামারুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল যুবায়ের, অর্থ সম্পাদক সায়মুন নাহার জিদনী, প্রচার ও প্রকাশনা আবুল বাশার হাওলাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন