বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, পূর্বে আমরা খারাপ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তা থেকে যেন বের হয়ে আসতে পারি। ব্যালট পেপার ছাপানোর ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ইভিএম পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ইভিএম এর মাধ্যমে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি জিনিস নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ইভিএম নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। আমি তা অস্বীকার করছি না।
গতকাল বুধবার দুপুরে বন্দর উপজেলা মিলনায়তনে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির ব্যক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ইভিএম পদ্ধতি চালু হয়েছে ২০০৮ সালে। ১৭টি উপজেলায় ইভিএম এর মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি একা গণতন্ত্র ঠিক রাখতে পারব না। গণতন্ত্র ঠিক রাখতে চাইলে ভোটার, রাজনীতিবিদ, প্রার্থী ও সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
পত্রিকা খুলে দেখবেন কেউ কেউ বলছে আমরা নাকি নির্বাচনকে ধ্বংস করে দিচ্ছি। আবার কেউ বলছে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়েছে।
কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আপনাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ পাওয়া গেলে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নারায়ণগঞ্জ ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ঢাকা অঞ্চল মো. রকিবুল মন্ডল, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান, বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন