বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৯, ১০:০৪ পিএম

আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তীত রাখা হয়েছে। এ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা চলতি অর্থবছরে একই ছিল। বৃহষ্পতিবার ( ১৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী করদাতাদের ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত কর দিতে হবে না। প্রতিবন্ধী করদাতাদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৪ লাখ টাকা। এছাড়াও গেজেটভুক্ত যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা চলতি বছরের মতো ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

আগের মতই সাধারণ করদাতাদের ক্ষেত্রে আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকার পর প্রথম ৪ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য ১৫ শতাংশ, এর পরের ৬ লাখ টাকার জন্য ২০ শতাংশ, পরবর্তী ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট মোট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর আগে ২০১১-১২ অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা; ২০১২-১৩ তে ২ লাখ এবং ২০১৩-১৪ তে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে আড়াই লাখ টাকা করা হয়। এর পরে করমুক্ত আয়সীমায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের আগে প্রায় প্রতিটি অর্থবছরের বাজেটেই এই সীমা বাড়ানো হয়।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সম্পদ কর আইন কার্যকর নেই। সম্পদ করের পরিবর্তে ব্যক্তিশ্রেণির বিত্তশালী করদাতারা তাদের প্রদেয় আয়করের একটি নিদিষ্ট হারে সারচার্জ দেন। বিগত কয়েক বছর ধরে এ বিধানটি কার্যকর আছে। তবে পর্যালাচনা করে দেখা গেছে, অনেক বিত্তশালী করদাতার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। কিন্তু তারা তেমন কোন আয় প্রদর্শন করেন না। ফলে প্রদেয় আয়কর কম হওয়ায় তাদের তেমন কোন সারচার্জও দিতে হয় না। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৫০ কোটি বা তার অধিক নিট সম্পদ রয়েছে এমন করদাতাদের নিট সম্পদের উপর শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বা শূণ দশমিক ১ শতাংশ হারে অথবা প্রদেয় করের ৩০ শতাংশ এর মধ্যে যেটি বেশি সে পরিমাণ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার উপরে নিট সম্পদ থাকলে সারচার্জ দিতে হয়। সারচার্জ আরোপের এ নিম্ন সীমা বৃদ্ধি করে ৩ কোটি টাকায় নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। নীট পরিসম্পদের মূল্যমান ৩ কোটি টাকা অতিক্রম করলে ন্যূনতম সারচার্জের পরিমাণ ৩ হাজার টাকা এবং ১০ কোটি টাকা অতিক্রম করলে ন্যূনতম সারচার্জের পরিমাণ ৫ হাজার টাকা প্রদানের বিগত বছরের বিধানটি অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়াও সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল সহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী করদাতার উক্ত ব্যবসায় হতে অর্জিত আয়ের উপর বিদ্যমান ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে সারচার্জ ও বিগত বছরের ন্যায় অপরিবর্তিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন