বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সামরিক পদক্ষেপকে সমাধান হিসেবে দেখা উচিত নয়

স্পুটনিককে সাক্ষাৎকারে ইমরান খান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

সামরিক পদক্ষেপকে কোন বিতর্কের সমাধান হিসেবে দেখা পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর উচিত নয় এবং তাদের বরং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করা উচিত। স্পুটনিককে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

পাকিস্তানের সাথে প্রতিবেশী ভারতের মতভেদের বিষয়টি নিয়ে খান বলেন, ‘আসুন, আমাদের সকল মতভেদের বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করি। আসলে মতপার্থক্য দ‚র করার এটাই একমাত্র উপায়। পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর উচিত নয় সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজা। এটা একটা পাগলামি’।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল আসিফ গফুর মার্চ মাসে স্পুটনিককে এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন যে, পাকিস্তান তাদের পারমাণবিক শক্তিকে আসল যুদ্ধের ক্ষেত্রে একটা প্রতিরোধ শক্তি হিসেবে বিবেচনা করে।

ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ তখনই বাড়তে পারে যদি দুই দেশের সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়।
খান বলেন, ‘আমরা আশা করি যে, যেমনটা আমি বলেছি, এখন যেহেতু নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে, ভারত আমাদের পদক্ষেপের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেবে যাতে দুই দেশের জনগণের পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। দুই দেশের সরকার একত্রে কাজ করলেই কেবল জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়বে’।

প্রধানমন্ত্রী শিখ সম্প্রদায়ের জন্য কার্তারপুর করিডোরের বিষয়টিকে পাকিস্তানের দিক থেকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। প্রস্তাবিত সীমান্ত করিডোরটি দিয়ে ভারতের শিখ তীর্থযাত্রীরা পাকিস্তানের ভেতরে গুরুদুয়ারাতে সফরে যেতে পারবে এবং এ জন্য কোন ভিসার প্রয়োজন হবে না। ইমরান খানও আরও বলেন, তিনি আশা করছেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশের ভেতরকার মতবিরোধ দূর করার ক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখবে এবং দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি করবে।

জনাব খান বলেন, ‘ ভারতের সাথে আমাদের প্রধান মতবিরোধের বিষয় হলো কাশ্মীর। দুই দেশের নেতারা যদি সিদ্ধান্ত নেন, দুই দেশের সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এই ইস্যুর সমাধান হতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, ভারতের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে এখন পর্যন্ত খুব একটা সাফল্য পাইনি আমরা। কিন্তু আমরা এখন আশা করি যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বড় ধরনের জনসমর্থন নিয়ে এসেছেন এবং উপমহাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য এটাকে তিনি কাজে লাগাবেন’।

খান বলেন, ‘এখন যেহেতু নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমাদের প্রত্যাশা যে ভারতের নেতৃবৃন্দ এই সুযোগটাকে গ্রহণ করবে, পাকিস্তান যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা কাজে লাগাবে - আসুন আমাদের মতপার্থক্যগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করি। আসলে সমস্যা সমাধানের সেটাই একমাত্র পথ’। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Raj Roy Chowdhury ১৫ জুন, ২০১৯, ৯:৫২ এএম says : 0
বুঝিনা পাক এত মরিয়া কেন ভারতের সাথে সু-সর্ম্পকের জন্য।
Total Reply(0)
Shohidul Islam ১৫ জুন, ২০১৯, ৯:৫৩ এএম says : 0
yes
Total Reply(0)
Md Firoz Mollah ১৫ জুন, ২০১৯, ১০:২৯ এএম says : 0
মাশাল্লাহ আললা শুকুর আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আমিন সারা পৃথিবীর দেশ প্রধানরা পাকিস্তানের ইমরানের কাছে শিখুন।
Total Reply(0)
Md Chan Mia ১৫ জুন, ২০১৯, ১০:৩০ এএম says : 0
সফল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খাঁন আমরা আশাকরি আপনি পারবেন আপনার উপরে আমাদের অনেক ভরসা মহান আল্লাহ যেনো আপনাকে তাওফিক দান করেন আমিন
Total Reply(0)
Md Rokon ১৫ জুন, ২০১৯, ১০:৩০ এএম says : 0
সাবাস! মুসলিম বিশ্বের নক্ষত্র।
Total Reply(0)
alim ১৫ জুন, ২০১৯, ৪:১২ পিএম says : 0
ইম্রান খান এত ঘনঘন ভারতের সঙ্গে আলচনা করতে চায় কেন?oic এর উচিত কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে চাপ দিয়ে তা মুক্ত করা না হলে সামরিক বেবস্থা নেয়া।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন