বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঈদে দুর্ঘটনা বেশি আঞ্চলিক সড়কে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৯, ৯:৫৭ এএম | আপডেট : ১০:১১ এএম, ১৫ জুন, ২০১৯

ঈদযাত্রার ১৪ দিনে সংঘটিত ১৪৮ দুর্ঘটনার ৯২টিই ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে। মহাসড়কে ঘটেছে ৫৬টি দুর্ঘটনা। এ সময় শুধু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৪৫। সব মিলিয়ে গত ২৯ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সড়কে প্রাণ ঝরেছে ১৯৭ জনের। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিভিন্ন পত্রিকার দৈনিক ও অনলাইন সংস্করণ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশিত সংবাদ ও তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ১৪ দিনের সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯৭ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৪০২ জন। নিহতদের মধ্যে শিশু রয়েছে ১৫ জন। নারীর সংখ্যা ২২ জন।
এছাড়া প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, ঈদযাত্রায় রেলপথে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা হয়েছে তিনটি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিন জন। আহত হয়েছেন চার জন। এছাড়া নৌপথে সংঘটিত দুটি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে একজনের। আহত হয়েছেন তিন জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ ছুটির কারণে এবার সড়কপথের ঈদযাত্রা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা যায়নি। রাজধানীর মধ্যেও বাস ও সিএনজি অটোরিকশা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছে। দুর্ঘটনার শিকার যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল বেশি। সড়ক-মহাসড়কে দ্রুতগতির যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের সঙ্গে নসিমন-করিমন-ইজিবাইক ইত্যাদি তিন চাকার যানবাহনের সংঘর্ষে প্রাণহানি বেশি হয়েছে। লঞ্চ সার্ভিস পর্যাপ্ত থাকার পরও ঈদের আগের দিন সদরঘাট টার্মিনালে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া টিকিট থাকা সত্ত্বেও অনেকে লঞ্চে উঠতে পারেনি বলে জানা গেছে। কিছু নৌশ্রমিকের কারসাজিতে লঞ্চের ডেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও ছিল। অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে প্রযুক্তিগত সমস্যা ও ঈদযাত্রার প্রথম দিন থেকে অনেক ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয়ের কারণে বহু যাত্রী চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত গতি ও বার বার ওভারটেক করার প্রবণতা, অদক্ষ চালকের হাতে চুক্তিতে যানবাহন চালাতে দেয়া, প্রতিযোগিতামূলক ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো, সড়ক-মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ইজিবাইক ইত্যাদি তিন চাকার যানবাহন ও মোটরসাইকেলের বেপরোয়া চলাচল, যাত্রী ও পথচারীদের অসচেতনতাসহ বিভিন্ন বিষয়কে দায়ী করা হয়েছে।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বাধাহীনভাবে পরিবহন পরিচালনা নীতি ও ট্রাফিক আইন প্রয়োগ, ঈদপূর্ব ঘরমুখী যাত্রা ও ঈদপরবর্তী কর্মস্থলমুখী যাত্রায় কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা রাখার সুপারিশও করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন