শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভিডিও ফুটেজ নিয়ে উত্তেজনা

ইরান চাইলে আলোচনায় প্রস্তুত : ট্রাম্প, তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত না নেয়ার হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

ওমান সাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে তড়িঘড়ি করে মার্কিন সামরিক বাহিনী যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। ব্রিটেন বাদে ইউরোপের বেশিরভাগ মার্কিন মিত্র দেশ ভিডিওর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। ভিডিও প্রকাশ করে ইরানকে হামলার জন্য দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, হামলার শিকার দুটি জাহাজের একটির কাছ থেকে ইরানি নাবিকরা একটি অবিস্ফোরিত মাইন সারিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু ইউরোপের দেশগুলো এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে এবং এ অজুহাতে ইরান-বিরোধী কোনো যুদ্ধে সমর্থন দেবে না বলেও জানিয়েছে। মার্কিন সরকার দাবি করছে ইরানি মাইন বিস্ফোরণে জাহাজে আগুন ধরেছে, কিন্তু জাহাজের জাপানি মালিক বলেছেন জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে এসে আঘাত হেনেছে। ওমান সাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্তে না পৌঁছনোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করেছে রাশিয়া। ওই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করছে। কিন্তু রাশিয়া আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা মনে করি তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো থেকে বিরত থাকা জরুরি।” জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, হামলার পেছনে যে ইরান রয়েছে তা প্রমাণের জন্য এই ভিডিও যথেষ্ট নয়। এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনির শীর্ষ উপদেষ্টা নাথালি টোসি বলেছেন, “কাউকে দোষ দেয়ার আগে আমাদের জন্য বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দরকার।” তিনি বলেন, “ইরানিরা খুবই যুক্তি মেনে চলা জাতি। যখন জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইরান সফর করছেন তখন সেই ইরানিরা জাপানি জাহাজে হামলা করবে এটা গ্রহণযোগ্য যুক্তি হতে পারে না।” অপর এক খবরে বলা হয়, ইরান চাইলে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ট্রাম্প ইরানকে দায়ী করলেও দেশটির সঙ্গে আলোচনার এ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। শুক্রবার ‘ফক্স নিউজ’কে ফোনে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “তারা এটা জানে।

তাদেরকে অনেক ভালভাবেই জোর দিয়ে একথা বলা হয়েছে যে, আমরা তাদেরকে আলোচনার টেবিলে ফিরে পেতে চাই।” “তারা ফিরে আসতে চাইলে আমরাও প্রস্তুত। তারা যখনই প্রস্তুত হবে আমরাও প্রস্তুত থাকব। তারা যখনই প্রস্তুত হবে তখনই ঠিক আছে। কোনো তাড়াহুড়ো নেই।” বৃহস্পতিবার ট্যাংকারে হামলার পর হরমুজ প্রণালী দিয়ে জাহাজ চলাচলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশ্বে তেল রপ্তানি পরিবহনের অন্যতম বাণিজ্যিক পথ হচ্ছে এ হরমুজ প্রণালী। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল কেনার জন্য বিভিন্ন দেশকে নিষেধাজ্ঞার কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত জানানোর পর ইরান এ বছরের শুরুর দিকে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। ফক্স নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ইরানের ওই হুমকি সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, “ইরান ওই প্রণালী বন্ধ করতে চাইলেও বেশিদিন বন্ধ রাখতে পারবে না।” তিনি বলেন, “তারা এটা বেশি দিন বন্ধ রাখতে পারবে না।” বৃহস্পতিবার কোকুয়া কারেজেস ও ফ্রন্ট আলটেয়ার নামের নৌযানদুটিতে ‘বিস্ফোরণের পর’ আগুন ধরে গেলে ইরানি উদ্ধারকারী দল ট্যাঙ্কার দুটির ৪৪ ক্রুকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। ওই ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তবে ইরান অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পার্সটুডে, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Saimon Hossain ১৬ জুন, ২০১৯, ১:২১ এএম says : 0
খুব সম্ভবত ইসরায়েল অথবা যুক্তরাষ্ট্র এই গুপ্ত হামলা চালাচ্ছে৷ যাতে করে ইরানকে দোষ চাপানো যায় এবং ইরান মেজাজ হারিয়ে প্রকাশে সৌদি অথবা তার মিত্রকে হামলা করার মত ভূল করে বসে৷ তাহলেই ইরাকের মত ত্রাহি দশা করা যাবে ইরানকে! খুবই নোংরা খেলা চলছে মধ্যপ্রাচ্যে।
Total Reply(0)
Nil Akash ১৬ জুন, ২০১৯, ১:২১ এএম says : 0
কাজটি করেছে আমেরিকা, সেটা সবাই জানে, যুদ্ধ জড়ানোর মাস্টারপ্ল্যান আর কি।
Total Reply(0)
Md Nazrul ১৬ জুন, ২০১৯, ১:২১ এএম says : 0
We know all the fairytale like the one US made by the help of Israel to finish IRAQ. The same fate is coming for IRAN. Only US have a problem now from Russia and the same time trade war with China. So Good luck USA and Israel.
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৬ জুন, ২০১৯, ১:২১ এএম says : 0
জাপানের প্রধানমন্ত্রী যখন ইরান সফরে আছে তখনই ইরান জাপানের তেলবাহী জাহাজে টর্পেড দিয়ে আঘাত করবে। সময়োপযোগী হামলা এবং খুবই বুদ্ধিদীপ্ত অভিযোগ
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৬ জুন, ২০১৯, ১:২২ এএম says : 0
আমেরিকা যুদ্ধ বাধানোর ফান্ড খুজতেছে। যুদ্ধতে অনেক খরচ হবে। ইরাক আক্রমণ এর সময় বৃটেনে, পোলান্ড এবং আরো কিছু দেশ ছিল। কিন্তু ইরান আক্রমণের জন্য কিছু অভিযোগ ও ফান্ডিং দরকার। বিভিন্ন দেশের তেল বাহী জাহাজে হামলা করে, আমেরিকা বুঝিয়ে দিচ্ছে, ইরান আক্রমণ এর ফান্ডিং না দিলে এমন হামলা মাঝে মাঝে হবে। আমেরিকা ইরাকে মিথ্যা অযুহাতেে হামলা করেছিল। আমেরিকার জনগণ কোনদিন নিজেদের ক্ষমা করতে পারবে? ইতিহাস কী বলে?
Total Reply(0)
Moazzma H ১৬ জুন, ২০১৯, ১:২২ এএম says : 0
কোকুকা কারিজিয়াসের আরও জানান, উনারা আমেরিকান মিলিটারির ইরানকে দোষারোপ করার সাথে একমত নন । “We received reports that something flew towards the ship,” Yutaka Katada, president of Kokuka Sangyo said at a press conference Friday. “I do not think there was a time bomb or an object attached to the side of the ship,” he said, adding that a projectile landed above the waterline.
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৬ জুন, ২০১৯, ১:২২ এএম says : 0
একের পর এক হামলা হবে ।তারপর ইরানকে দোষ দিবে এবং ইরানও সেটা প্রত্যাখান করবে।এটাই এখন একটা নিয়মে দাড়িয়ে গেছে।আসলে কারা হামলা করেছে সেটা হয়ত কখনও জানা যাবেনা।বলাবাহল্য ইরান বা আমেরিকা কে্উ ধোয়া তুলসী পাতা নয়।
Total Reply(0)
Aminul Islam ১৬ জুন, ২০১৯, ৯:১০ এএম says : 0
সোজাসাপ্টা কথা হলো: আমেরিকা আরেকটা অন্যায় যুদ্ধের পাঁয়তারা করতেছে। জালিমদের জন্য আল্লাহর বিপদ আসন্ন।
Total Reply(0)
MD Rezaur Rahman Zoblu ১৬ জুন, ২০১৯, ১০:২৬ এএম says : 0
এই সব আমেরিকার ষড়যন্ত্র। গোপনে হামলা করেছে আমেরিকা আর দোষ দিচ্ছে ইরানের উপর। এই বিশ্ব সন্ত্রাস তেল চোর লুটেরা আমেরিকার উপর সবাই ঐক্য বদ্ধ হয়ে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন