প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব বলে মনে করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলটি মনে করে, এই বাজেট নিয়ে হতাশার কিছু নেই। গতকাল শনিবার প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাজেট নিয়ে হতাশার কিছু নেই। বাজেটে কোথাও নেগেটিভ কোনো বিষয় নেই। এটা জনবান্ধব পজেটিভ বাজেট।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে অর্থনীতিবিদদের নেতিবাচক সমালোচনার জবাবে ওয়ায়দুল কাদের বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে এ বাজেট অনন্য সাধারণ দলিল। বাজেট নেগেটিভ তাদের দৃষ্টিতে, যাদের দৃষ্টিতে শেখ হাসিনা সরকার ‘যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা’। এ বাজেট নিয়ে যারা বিরূপ মন্তব্য ও বিদ্বেষমূলক কথা বলছেন তারা আওয়ামী বিদ্বেষ থেকে মনগড়া এসব কথা বলেন। মনগড়া ব্যাখ্যা দিলে চলবে না, যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১০ বছর ধরে বিএনপি প্রতিটি বাজেট সম্পর্কে এ ধরনের মনোভাব দেখিয়েছে। কিন্তু প্রতিটি বাজেটই বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হতে যাচ্ছে। বাজেট নিয়ে তাদের বিরূপ সমালোচনা মনগড়া, গতানুগতিক। এটা তাদের নেগেটিভ রাজনীতি। নেগেটিভ মানসিকতারই প্রতিফলন তাদের বাজেট নিয়ে মন্তব্য।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, অদম্য তারুণ্য, প্রতিবন্ধীসহ অনগ্রসর মানুষের কাছে এ বাজেট পৌঁছে গেছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের স্বপ্ন পূরণেই এ বাজেট। মানুষ সেটা বুঝে গেছে। সরকার বাজেট বাস্তায়নকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা নতুন স্পিরিট নিয়ে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন