শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্যযুদ্ধে প্রস্তুত বেইজিং

চীনা সাময়িকীর মন্তব্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র চীনের জনগণের আকাক্সক্ষাকে অবজ্ঞা করেছে বলে মন্তব্য করেছে বেইজিংয়ের প্রভাবশালী একটি সাময়িকী। রোববার চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির দলীয় সাময়িকী কুয়োশি বলেছে, দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বেইজিং। কমিউনিস্ট পার্টির মতাদর্শিক এই সাময়িকীতে প্রকাশিত এক মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ নিরসনের আলোচনায় বেইজিংয়ের মূলনীতিতে ছাড় দেবে না চীন। রাষ্ট্রায়ত্ব সংবাদপত্র গেøাবাল টাইমস-এর প্রধান সম্পাদক হু শিজিন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক চাপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনা সমাজের নতুন সন্নিবেশ প্রতিফলিত হয়েছে।

চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে গত বছর থেকে বেইজিংয়ের রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ আর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নামের কথিত সংরক্ষণশীল নীতির ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বেইজিংও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে। এই বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে চলতি বছরের মে মাসে ওয়াশিংটন-বেইজিং আলোচনায় বসলেও কোনও চুক্তি ছাড়াই শেষ হয় তা। এ মাসের শেষ নাগাদ জাপানে জি-২০ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই বিরোধ নিরসনে আলোচনায় বসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোববার কুয়োশি-তে প্রকাশিত মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিরোধের তীব্রতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ধরনের হুমকি বা চাপের মুখে চীন ভীত হবে না। চীনের সামনে যেমন কোনও বিকল্প নেই তেমনি এড়িয়ে যাওয়ার কোনও উপায়ও নেই, কেবল শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কোনও ব্যক্তি বা শক্তির চীনা জনগণের এই ইস্পাত কঠোর প্রতিজ্ঞাকে খাটো করে দেখা উচিত হবে না’।

যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে কুয়োশির মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব ওয়াশিংটনের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের যুগে বাণিজ্যিক সুরক্ষা হলো বিষ, কোনো সর্বরোগের ওষুধ না’। প্রতিবেদনটি জানিয়েছে, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন খরচ বাড়াবে আর মার্কিন ভোক্তাদের মূল্যস্ফীতির দিকে ঠেলে দেবে। বলা হয়েছে, ‘গুটি কয়েক মার্কিন নাগরিক বাণিজ্য বিরোধের কারণে সুবিধা পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ দুর্ভোগে পড়বে’।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ash ১৭ জুন, ২০১৯, ৭:৪৫ এএম says : 0
AI SHUJOG TA BANGLADESH ER PURO PURI KAJE LAGANO WCHITH ! KINTU BANGLADESHER DURNITI, CHURI, ONIOM, OLOSHOTA MONE HOY NA BANGLADESH TEMON KISU SHUFOL ADAY KORTE PARBE AI SHUJOG DIE. EID ER KARONE OVER TIME DIE HOLE O PORT KE SHOCHOL RAKHA JORURI SILO, JEMON ONNANNO DESH E PUBLICK HOLLIDAY TE OVER TIME EVEN 2 TIMES OVER MONEY DIE O SHOCHOL RAKHE
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন